সিলেটে ফের বিপৎসীমার ওপরে সুরমা-কুশিয়ারার পানি
টানা বৃষ্টি ও উজানের ঢলে সিলেটে ফের বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে সুরমা ও কুশিয়ারার নদীর পানি। ফলে বিভিন্ন নদ-নদীর পানিও বাড়তে শুরু করেছে।
গতকাল শুক্রবার (১৪ জুন) থেকে কুশিয়ারা নদীর পানি ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। অন্যদিকে আজ শনিবার সকাল ৯টায় সুরমা নদীর পানি কানাইঘাট পয়েন্টে বিপৎসীমা ছাড়িয়েছে।
এ অবস্থায় ফের বন্যার আশঙ্কায় রয়েছেন সিলেটের নিম্নাঞ্চলের বাসিন্দারা।
এদিকে সিলেট আবহাওয়া অফিস শুক্রবার সকাল ৬টা থেকে শনিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ২০২ মিলিমিটার ও শনিবার সকাল ৬টা থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত ৪৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে।
ভারতের চেরাপুঞ্জিতে সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় ৫১৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এসব বৃষ্টির পানি সিলেটের নদ-নদী দিয়ে নেমে আসে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, শনিবার সকাল ৬টায় সুরমা নদীর পানি কানাইঘাট পয়েন্টে ১২.৫৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। সকাল ৯টায় তা বিপৎসীমা ছাড়িয়ে যায়।
অন্যদিকে কুশিয়ারা নদীর পানি ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টে শুক্রবার থেকে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আজ শনিবার সকাল ৬টায় বিপৎসীমার ৪৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। সকাল ৯টায় তা আরও বেড়ে ৫০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।
এছাড়া সুরমা-কুশিয়ারা নদীর এই দুই পয়েন্ট ছাড়াও সবক'টি পয়েন্টে পানি বাড়ছে এবং সারিগোয়াইন, লোভা, ডাউকি ও ধলাই নদীর পানিও ফের বাড়তে শুরু করেছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্যমতে, শনিবার সকাল ৯টায় সুরমা নদীর পানি সিলেট পয়েন্টে ৯.৯৫ সেন্টিমিটার দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।
কুশিয়ারা নদীর পানি আমলশীদ পয়েন্টে ১৩.৮৬ সেন্টিমিটার, শেওলা পয়েন্টে ১০.৯৫ সেন্টিমিটার, শেরপুর পয়েন্টে ৮.৩৩ সেন্টিমিটার দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।
এছাড়াও লোভা নদীর পানি ১৩ দশমিক ৭৫ সেন্টিমিটার, সারি নদীর পানি ১২.১৬ সেন্টিমিটার, ডাউকি নদীর পানি ১০.৬৩ সেন্টিমিটার ও সারি গোয়াইন নদীর পানি ৯.৯২ সেন্টিমিটার দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী দীপক রঞ্জন দাস বলেন, বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকায় নদীর পানি ফের বাড়তে শুরু করেছে। সুরমা ও কুশিয়ারা নদীর পানি দুইটি পয়েন্টে বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। অন্যান্য পয়েন্টেও পানি বাড়তে শুরু করেছে।
সিলেট আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ শাহ মো. সজীব হোসেন বলেন, শুক্রবার সকাল ৬টা থেকে শনিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ২০২ মিলিমিটার ও শনিবার সকাল ৬টা থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত ৪৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। সিলেটে আরও বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।