‘বিদ্যুৎ আকাশ থেকে আসেনি’: গ্রামের বদলে গুলশান-বারিধারায় বেশি লোডশেডিং দিতে বললেন প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শনিবার (২৯ জুন) বলেছেন, গুলশান, বনানী ও বারিধারার মতো ধনী এলাকায় গ্রামের বদলে বেশি লোডশেডিং দেওয়া উচিত।
'গুলশান, বনানী, বারিধারার মতো সমৃদ্ধ এলাকায় গ্রামের পরিবর্তে আরও লোডশেডিং হওয়া উচিত। দুই হাজার মেগাওয়াট লোডশেডিং তাদের [ধনীদের] মনে করিয়ে দেবে যে, তাদের বিলাসবহুল জীবনের জন্য বিদ্যুৎ কেবল আকাশ থেকে আসেনি, বরং এটা আমাদের কারণেই সম্ভব হয়েছে,' সংসদে প্রস্তাবিত বাজেটের অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রী বলেন।
বিদ্যুৎ পরিস্থিতি সম্পর্কে বলতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, যখন দেশের মানুষ গরিব ছিল তখন বিদ্যুতের চাহিদা কম ছিল। 'মানুষের জীবনযাত্রার উন্নতির সাথে সাথে বিদ্যুতের চাহিদাও বৃদ্ধি পেয়েছি,' তিনি যোগ করেন।
২০২৪-২৫ অর্থবছরের জাতীয় বাজেট সম্পর্কে শেখ হাসিনা বলেন, এটি অতিরিক্ত উচ্চাভিলাষী নয়, বরং এটি জনগণের জীবনমান উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখার জন্য একটি উন্নয়ন বাজেট।
বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ৬.৭৫ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, যখন পশ্চিমা দেশসহ অন্যান্য দেশে প্রবৃদ্ধি নেতিবাচক, তখন দেশের প্রবৃদ্ধি ইতিবাচক।
বার্ষিক উন্নয়ন পরিকল্পনার (এডিপি) জন্য এবার বরাদ্দের পরিমাণ দুই কোটি ৬৫ লাখ টাকা বলেও জানান তিনি।
কৃষি খাতে বিভিন্ন উন্নয়নের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী দাবি করেন, সরকারের নেওয়া নীতির সুফল মানুষ পাচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, 'ভারত ও মায়ানমারের বিরোধ সত্ত্বেও আমরা আমাদের সমুদ্রসীমা নির্ধারণ করতে পেরেছি। আমরা এখন ব্লু ইকোনমিতে প্রবেশ করছি।'
এর আগে ৬ জুন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী সংসদে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য সাত লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকার প্রস্তাবিত জাতীয় বাজেট পেশ করেন।
৭ জুন শেখ হাসিনা বলেছিলেন, বর্তমান বৈশ্বিক পরিস্থিতি মাথায় রেখে আগামী অর্থবছরের জাতীয় বাজেট দেওয়া হয়েছে কারণ সরকার রক্ষণশীল উপায়ে এগিয়ে যেতে চায় এবং জনগণের মৌলিক অধিকার পূরণ করতে চায়।
'আমাদেরকে বৈশ্বিক পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে, পরিকল্পনার সঙ্গে এগিয়ে যেতে হবে... আমরা রক্ষণশীল পথে এগিয়ে যেতে চাই এবং মানুষের মৌলিক অধিকার পূরণ করতে চাই,' তিনি বলেন।