পদ্মা সেতু: প্রকল্পের সমাপনী অনুষ্ঠানে ৫ কোটি টাকা ব্যয় করবে সরকার
পদ্মা সেতু প্রকল্পের জমকালো সমাপনী অনুষ্ঠানে পাঁচ কোটি টাকা ব্যয়ের অনুমোদন দিয়েছে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি।
গত ৩০ জুন পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্পের সব কর্মযজ্ঞ শেষ হয়েছে। তাৎপর্যপূর্ণ এই মাইলফলক অর্জন উপলক্ষে আগামীকাল শুক্রবার (৫ জুলাই) সেতুর মাওয়া-প্রান্তে এক জমকালো অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে। এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এ লক্ষ্যে বুধবার মন্ত্রিসভা কমিটি সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে সমাপনী অনুষ্ঠানের ব্যয়ের অনুমোদন দেয়।
অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়।
বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব মোহাম্মদ মাহমুদুল হোসেন খান সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।
এসময় তিনি বলেন, 'উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের একই স্থানে পদ্মা সেতুর সমাপনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে।'
তিনি আরও বলেন, 'সীমিত সময়সীমার কারণে, আমরা উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতির মাধ্যমে এগোতে পারছি না। তাই, সরাসরি ক্রয় পদ্ধতির মাধ্যমে কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে, মন্ত্রিসভা কমিটি এর অনুমোদন দিয়েছে।'
সমাপনী অনুষ্ঠানের বাজেট ৫ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে, তবে সব খরচের হিসাব না পাওয়া পর্যন্ত চূড়ান্ত ব্যয় এখনও অনিশ্চিত।
সচিব আরও বলেন, 'ব্যয় ৫ কোটি টাকার কম হলে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিবরা তা অনুমোদন করতে পারেন।'
সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উপস্থিত থাকবেন এবং সেতুর মাওয়া প্রান্তে একটি সুধী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।
স্বপ্নের পদ্মা সেতু উদ্বোধনের দুই বছরেই নিরবিচ্ছিন্ন যোগাযোগে বদলে গেছে দেশের দক্ষিণ ও দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের যাতায়াতের চিত্র। ২০২২ সালের ২৫ জুন সড়কপথের পর ২০২৩ সালের ১০ অক্টোবর চালু হয় প্রকল্পের রেলপথ। বাকি ছিল নদী শাসনসহ কারিগরি কিছু কাজ। এবার প্রকল্পের সেসব কাজও সম্পন্ন হয়েছে। গত ৩০ জুন সেতুর সব কর্মযজ্ঞ শেষ হওয়ার কথা নিশ্চিত করেছে সংশ্লিষ্টরা।
পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্পের সফল সমাপ্তি উপলক্ষে এই অনুষ্ঠান আয়োজিত হচ্ছে।
২০২২ সালের ২৫ জুন উদ্বোধনের পর থেকে পদ্মা সেতু দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থায় একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।
উদ্বোধনের পর থেকে গত ২৫ জুন, ২০২৪ পর্যন্ত দুই বছরে টোল আদায় হয়েছে এক হাজার ৬৪৮ কোটি ৭৬ লাখ ১৮ হাজার ৩০ টাকা।
এই দুই বছরে ১ কোটি ২৭ লাখ ১৩ হাজার ২৭৫ টি যানবাহন পারাপার বাবদ এ টোল আদায় করা হয়েছে। প্রতিদিন গড়ে ১৯ হাজার যানবাহন সেতু পারাপার হয়।