হাইকোর্টের কোটা-সংক্রান্ত নির্দেশনা মানতে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে ইউজিসির চিঠি
উচ্চ আদালতের কোটাসংক্রান্ত নির্দেশনা প্রতিপালন নিশ্চিত করতে সব সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসিকে চিঠি দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি)।
আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে (১১ জুলাই) বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের সচিব ড. ফেরদৌস জামান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সুপ্রিম কোর্টের অ্যাপিলেট ডিভিশনের মামলার পরিপ্রেক্ষিতে আদালত কর্তৃক নিম্নলিখিত পর্যবেক্ষণ ও নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।
১। সব প্রতিবাদকারী কোমলমতি ছাত্র-ছাত্রীদেরকে স্ব স্ব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ফিরে গিয়ে নিজ নিজ কাজে, অর্থাৎপড়াশোনায় মনোনিবেশ করতে বলা হলো।
২। দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য/প্রক্টর ও অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানরা তাঁদের ছাত্র-ছাত্রীদেরকে স্ব স্ব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ফিরিয়ে নিয়ে শিক্ষার উপযুক্ত পরিবেশ সৃষ্টি করবেন মর্মে এই আদালত আশা করে।
৩। স্বতঃস্ফূর্ত প্রতিবাদকারী ছাত্র-ছাত্রীরা চাইলে আইনজীবীর মাধ্যমে তাদের বক্তব্য আদালতের সামনে তুলে ধরতে পারবেন। আদালত মূল দরখাস্তটি নিষ্পত্তিকালে তাদের বক্তব্য বিবেচনায় নেবে।'
এমতাবস্থায়, আদালত কর্তৃক প্রদত্ত উক্ত পর্যবেক্ষণ ও নির্দেশনাসমূহ প্রতিপালনের জন্য নির্দেশক্রমে বিজ্ঞপ্তিতে অনুরোধ জানানো হয়।
আজ বৃহস্পতিবারে ২০১৮ সালে কোটা বাতিল করে জারি করা পরিপত্র অবৈধ ঘোষণা করে দেওয়া উচ্চ আদালতের সংক্ষিপ্ত রায় প্রকাশিত হয়েছে। রায়ে আদালত বলেছেন, সরকার চাইলে কোটার অনুপাত পরিবর্তন করতে পারবে।
রায়ে বলা হয়, রায়ে মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তান/নাতি-নাতনিদের জন্য কোটা পুনর্বহাল করতে এবং জেলা, মহিলা, প্রতিবন্ধী, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী, সংখ্যালঘু ও অন্যান্যদের জন্য সংরক্ষিত কোটা বহাল রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
"তবে বিবাদী [সরকার] যদি প্রয়োজনে উল্লিখিত মানদণ্ডের সঙ্গে সম্পর্কিত কোটার অনুপাত বা শতাংশ পরিবর্তন, হ্রাস বা বৃদ্ধি করে তাহলে এ রায় বিবাদির ওপর কোনো প্রতিবন্ধকতা তৈরি করবে না।"