অনির্দিষ্টকালের জন্য সব সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা, হল ছাড়ার নির্দেশ ইউজিসি'র
কোটা সংস্কার নিয়ে উদ্ভুত পরিস্থিতির কারণে দেশের সকল সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে ইউজিসি (বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন)। আজ মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) রাতে কমিশনের সচিব ড. ফেরদৌস জামান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এর আগে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত দেশের সব মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক ও পলিটেকনিক প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার ঘোষণা দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। একইভাবে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত সব কলেজ ও প্রতিষ্ঠানগুলোও বন্ধ থাকবে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত মোতাবেক শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার বিষয়টি বিবেচনায় দেশের সকল পাবলিক ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এবং বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত মেডিকেল, টেক্সটাইল, ইঞ্জিনিয়ারিং ও অন্যান্য কলেজসহ সকল কলেজের শিক্ষা কার্যক্রম পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত বন্ধ থাকবে।
একই সাথে বিজ্ঞপ্তিতে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার স্বার্থে আবাসিক হল ত্যাগের নির্দেশনা দিয়ে নিরাপদ আবাসস্থলে অবস্থানের নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।
ইউজিসি সচিব ড. ফেরদৌস জামান দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বলেন, "আমরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে তাদের স্ব স্ব বিশ্ববিদ্যালয় ও হলগুলো বন্ধের নির্দেশনা দিয়েছি। এখন বিশ্ববিদ্যালয়গুলো তাদের যার যার সুবিধা মতো সিদ্ধান্ত দিবে। এজন্য আমরা কোনো টাইম ফিক্সড করে দেইনি।"
সোমবার (১৫ জুলাই) সারাদেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে কোটা আন্দোলনকারীদের ওপর সহিংস হামলার পর আজ মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) সকালে ব্যাপক বিক্ষোভ শুরু হয়। এতদিন শুধু সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে থাকলেও আজকে বিভিন্ন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের শিক্ষার্থীও তাদের সাথে এসে যোগ দেন।
আন্দোলনের সমন্বয়ক, চিকিৎসক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, দেশের বিভিন্ন স্থানে কোটা সংস্কারকারীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলায় তিন শতাধিক শিক্ষার্থী আহত এবং অন্তত ছয়জন নিহত হয়েছেন।
কোটা সংস্কারের দাবিতে আগামীকালও আন্দোলন চলবে বলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ মঙ্গলবার রাতে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে জানিয়েছেন। তবে আগামীকালের কর্মসূচি আজ রাতে ঘোষণা করা হবে বলে জানান তিনি।