ঢাকার যেসব স্থানে আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষ চলছে
কোটা সংস্কার আন্দোলনের অংশ হিসেবে সারা দেশে আজ (বৃহস্পতিবার) 'কমপ্লিট শাটডাউন' কর্মসূচি চলছে। এতে ঢাকায় পুলিশের সাথে বিভিন্ন স্থানে সংঘর্ষের খবর পাওয়া যাচ্ছে।
মিরপুর ১০-এ রাবার বুলেটে অন্তত ৫০ জন আন্দোলনরত শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন বলে ঘটনাস্থল থেকে আমাদের সংবাদদাতা জানিয়েছেন। বিক্ষোভরত শিক্ষার্থীদের লক্ষ্য করে পুলিশ রাবার বুলেট, টিয়ার গ্যাস ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করছে।
নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি, আইইউবি ও এআইইউবির শিক্ষার্থীরা রাজধানীর নতুন বাজার থেকে শুরু করে যমুনা ফিউচার পার্ক ও কুড়িল বিশ্বরোড পর্যন্ত অবরোধ করেছেন। পুলিশও ঘটনাস্থলে জড়ো হয়েছে; থেমে থেমে টিয়ার শেল নিক্ষেপ করছে। ঘটনাস্থল থেকে পাওয়া ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, পুলিশ ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের চারদিকে টিয়ার গ্যাসের শেল মারছে। সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
মিরপুর ১২ নম্বরে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশকে চড়াও হতে দেখা যায়। এসময় সাদা পোশাকে শিক্ষার্থীদের পেটাতেও দেখা যায়।
রাজধানীর শনির আখড়া, কাজলা ও যাত্রাবাড়ী এলাকায় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সংঘর্ষের খবর পাওয়া গেছে। আজ সকাল ১১টার দিকে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা শনির আখড়া এলাকার দিক থেকে মিছিল নিয়ে যাত্রাবাড়ীর দিকে আসার চেষ্টা করেন। এ সময় তাদের ঠেকাতে পুলিশ টিয়ার গ্যাস ও সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়ে। এরপর দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়।
রাজধানীর উত্তরার বিভিন্ন এলাকায় বিক্ষোভ করছেন কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এ সময় সংঘর্ষে শতাধিক শিক্ষার্থী হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে।
গতকালের সংঘর্ষের পর আজ (১৮ জুলাই) সকাল পর্যন্ত সুনসান নীরবতা বিরাজ করছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় বিজিবি সদস্যদের মহড়া দিতে দেখা যায়। টিএসসি ও টিএসসিসংলগ্ন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের গেটে অবস্থান করছিলেন শতাধিক বিজিবি সদস্য।
'কমপ্লিট শাটডাউন'কে কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ঢাকাসহ সারা দেশে ২২৯ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানিয়েছে বিজিবি সদর দপ্তরের জনসংযোগ।