নাশকতাকারীদের চিহ্নিত করে বিচারের মুখোমুখি করা হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল জানিয়েছেন, কোটা আন্দোলনকে কেন্দ্র করে যারা নাশকতা করেছে, তাদের চিহ্নিত করে বিচারের মুখোমুখি করা হবে।
দেশবাসীকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনতে যত দ্রুত সম্ভব কারফিউ তুলে দিতে সরকার কাজ করছে বলেও এসময় জানিয়েছেন তিনি।
বুধবার (২৪ জুলাই) সচিবালয়ে সাম্প্রতিক সহিংসতায় নিহত পুলিশ ও আনসার সদস্যদের পরিবারের কাছে সহায়তার চেক প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা জানান।
অনুষ্ঠানে তিন পুলিশ সদস্য এবং একজন আনসার সদস্যের পরিবারকে ৫ লাখ টাকার অনুদান দেওয়া হয়।
এঘটনায় পুলিশের যে তিনজন সদস্য নিহত হয়েছেন, তারা হলেন- পিবিআইয়ের পরিদর্শক মাসুদ পারভেজ, ঢাকা মহানগর পুলিশের সদস্য গিয়াস উদ্দিন এবং ট্যুরিস্ট পুলিশের এসআই মুক্তাদির। এছাড়া, মতিঝিল থানায় কর্মরত আনসার সদস্য মো. জুয়েল নিহত হয়েছেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, 'সরকারের সর্বশক্তি দিয়ে নাশকতাকারীদের চিহ্নিত করা হবে। সরকার এক্ষেত্রে কোনো ছাড় দেবে না।'
তিনি বলেন, 'সরকার বাধ্য হয়ে কারফিউ জারি করেছে। সেনাবাহিনীকে ডেকেছে। সেনাবাহিনী সহযোগিতা করছে। এই জঙ্গি ও সন্ত্রাসীদের উত্থান, বিএনপি-জামায়াতের চক্রান্ত এরই মধ্যে আমরা কন্ট্রোল করা সম্ভব হয়েছে। আশা করা হচ্ছে আগামী দু-চারদিনের মধ্যে সব নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে।'
কারফিউ তুলে নেওয়ার পরিকল্পনার বিষয়ে জানতে চাইলে আসাদুজ্জামান খান বলেন, 'এখন কারফিউ শিথিল। সরকার কারফিউ রাখতে চায় না। থানায় আক্রমণ হয়েছে, পুলিশ নিহত হয়েছে। রাষ্ট্রের কেপিআই প্রতিষ্ঠানগুলো ধ্বংস করে দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে। পুলিশ, র্যাব, আনসার, বিজিবি দায়িত্ব পালন করতে গেলে তাদের হত্যা করা হচ্ছে। সেজন্য আমরা বাধ্য হয়ে সান্ধ্য আইন বা কারফিউ জারি করেছি।'
তিনি বলেন, 'সেনাবাহিনীর কাজ শেষ হলে, দেশের পরিবেশ যখন ঠিক হবে, সেনাবাহিনী তাদের কাজে চলে যাবে। কারফিউ প্রত্যাহার হবে এবং জনজীবন আবারও স্বাভাবিক গতিতে চলবে। আমরা যত তাড়াতাড়ি পারি সেটি ব্যবস্থা করার জন্য কাজ করছি।'
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, 'কোটাবিরোধী আন্দোলনের মধ্যে যে সহিংসতা হয়েছে সেজন্য স্বাধীনতাবিরোধী, জামায়াত-বিএনপি ও জঙ্গিরা দায়ী। এরা জোটবদ্ধভাবে আক্রমণ করেছে। দেশে কখনো থানা, কারাগারে আক্রমণ হয়েছে এমন দেখা যায়নি।'
তিনি বলেন, 'পুলিশকে চিহ্নিত করে ধরার জন্য মাইকে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। তাই নিরাপত্তা বাহিনী বসে থাকতে পারেনি।'
অনুষ্ঠানে পুলিশের মহাপরিদর্শক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন, আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল এ কে এম আমিনুল হকসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।