সারাদেশে ‘অসহযোগ আন্দোলন’: রাস্তাঘাট ফাঁকা, চলছে না দূরপাল্লার বাস, বিভিন্ন স্থানে সংঘর্ষ
শিক্ষার্থীদের 'অসহযোগ আন্দোলন' এর প্রথম দিনে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলার রাস্তাঘাটে খুবই কম সংখ্যক গণপরিহন চলতে দেখা গেছে। বেশ কিছু জেলা থেকে দূরপাল্লার বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে বলেও খবর মিলেছে।
বিভিন্ন জেলায় অবস্থানরত দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের প্রতিনিধিদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, দেশের উত্তরবঙ্গের জেলাসমূহ; কুষ্টিয়া, খুলনা, সাতক্ষীরা, সিলেট, নারায়ণগঞ্জ, লক্ষ্মীপুর, চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন জেলা থেকে আজ (৪ আগস্ট) সকালে দূর পাল্লার কোনো বাস ছেড়ে যায়নি। একইসঙ্গে এসব জেলার বিভিন্ন স্থানে অবস্থা নিয়েছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
বিভিন্ন জেলার সর্বশেষ পরিস্থিতি—
ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কের সাইনবোর্ড-চিটাগং রোড, মদনপুর অবরুদ্ধ
নারায়ণগঞ্জ শহরের গার্মেন্টসগুলো ছুটি দিয়ে দেওয়ায় কার্যত ফাঁকা হয়ে গেছে পুরো শহর। ঢাকা–চট্টগ্রাম মহাসড়কের সাইনবোর্ড–চিটাগং রোড ও মদনপুর এলাকা অবরুদ্ধ করে শিবু মার্কেট, স্টেডিয়াম এলাকায় অবস্থান নিয়েছেন আন্দোলনকারীরা।
এছাড়া, নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদ ও চাষাঢ়া পুলিশ বক্স ভাঙচুরের খবর পাওয়া গেছে।
কুষ্টিয়ায় বন্ধ দূরপাল্লার বাস চলাচল
কুষ্টিয়া থেকে দূরপাল্লার বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। বেলা ১১টার দিকে শহরের সিঙ্গার মোড়ে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের জড়ো হওয়ার কথা থাকলেও এখনো তেমন ভিড় দেখা যায়নি। তবে শহরের সব দোকান-পাঠ বন্ধ থাকায় থামথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
খুলনার রাজপথে শিক্ষার্থীরা, আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে আগুন
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকে খুলনায় অসহযোগ আন্দোলন পালনের জন্য নগরীর শিববাড়ি মোড়ে জড়ো হতে শুরু করেছেন শিক্ষার্থীরা।
রোববার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে তারা ধীরে ধীরে নগরীর শীববাড়ি মোড়ে অবস্থান নেওয়া শুরু করে। বেলা ১১টা পর্যন্ত মাত্র আধাঘণ্টায় প্রায় ২ হাজার শিক্ষার্থী সেখানে উপস্থিতি হন। এছাড়া খণ্ড খণ্ডভাবে সেখানে যোগ হচ্ছেন শিক্ষার্থীরা।
তাদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, শিববাড়ি মোড় থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করার পরিকল্পনাও রয়েছে। ওই মিছিলটি পরিস্থিতি বিবেচনায় সোনাডাঙ্গা বাস স্ট্যান্ড হয়ে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের দিকে যেতে পারে। তবে পুলিশের বাধা ও অন্যান্য পরিস্থিতির বিবেচনায় তাদের সিদ্ধান্তও পরিবর্তন হতে পরে।
এদিকে দুপুর একটার দিকে খুলনা মহানগর ও জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে। এ সময় ছবি তুলতে গেলে তারা অন্তত খুলনার ১৫ থেকে ২০ জন সাংবাদিককে লাঞ্ছিত করে। কয়েকজন সিনিয়র সাংবাদিকের গায়ে হাত তুলে। এ সময় তারা সাংবাদিকদের দিকে তেড়ে এসে ভুয়া ভুয়া ও বাতাবি লেবু বলে স্লোগান দিতে থাকে। এক পর্যায়ে তারা আওয়ামী লীগ অফিসে আগুন দেওয়া শেষে ভাংচুরের উদ্দেশ্য খুলনা জেলা পরিষদের দিকে রওনা হয়।
অন্যদিকে শিক্ষার্থীদের একটি অংশ খন্ড খন্ড ভাবে শহরের অন্যান্য স্থানগুলোতে দখল দেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে। ইতিমধ্যে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীদের একাংশ নগরীর শঙ্খ মার্কেট এলাকার মহানগর ও জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে।
শিক্ষার্থীদের অসহযোগ আন্দোলন, উত্তরে 'চলছে না' যানবাহন
বৈষম্যবিরোধী কোটা সংস্কার আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের ডাকা অসহযোগ কর্মসূচির কারণে কার্যত স্থবির হয়ে পড়েছে উত্তরাঞ্চল। রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের ১৬ জেলা বড় বাস-ট্রাক-মিনিট্রাক চলাচল বন্ধ রয়েছে। রাস্তায় চলছে ছোট যানবাহন। এই জেলাগুলোতে সাধারণ মানুষের বাহন এখন সিএনজিচালিত অটোরিকশা আর ব্যাটারিচালিত রিকশা।
শহরের সাতমাথায় জরুরি দরকারি লোজকন ছাড়া কেউ চলাচল করছেন না। সেখানে থাকা একধিক গণমাধ্যমকর্মী জানিয়েছেন, সকাল থেকেই আওয়ামী লীগ, এর সহযোগী ও অঙ্গ সংগঠনের লোকজন সাতমাথায় জড়ো হচ্ছেন। তারা আন্দোলনকারীদের প্রতিহত করার ঘোষণা দিয়েছেন। বগুড়ার প্রাণ কেন্দ্র হলেও সেখানে কেনো দোকানপাট খোলেনি। রিকশা ছাড়া কোনো যানবাহনও দেখা যাচ্ছে না সাতমাথায়।
চট্টগ্রামে একই স্থানে দুই পক্ষের সমাবেশ, দুই হাজার পুলিশ মোতায়েন, পরিস্থিতি থমথমে
চট্টগ্রাম নগরীর নিউমার্কেট এলাকায় সমাবেশ ডেকেছে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারী ও আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা। আজ রোববার (৪ আগস্ট) সকাল ১০টা থেকে আওয়ামীলীগের এবং সকাল ১১টা থেকে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের জড়ো হওয়ার কথা রয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, আইনশৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীর প্রায় দুই হাজার সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়া, দুই পক্ষের মাঝখানে পুলিশের ব্যারিকেড থাকবে।
এক দফা দাবিতে সাতক্ষীরায় বিক্ষোভ মিছিল শুরু
সাতক্ষীরায় বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়েছে। শহরের খুলনা রোড মোড় থেকে বিক্ষভ মিছিলটি শুরু হয়। এতে যোগ দিয়েছেন কয়েক হাজার শিক্ষার্থী।
এর আগে, এক দফা দাবির আন্দোলনে সাতক্ষীরায় জড়ো হন শিক্ষার্থীরা। সকাল ১১টায় দেখা যায়, পাটকেলঘাটা হারুণ অর রশিদ কলেজের সামনে শতাধিক শিক্ষার্থী জড়ো হয়ে বিক্ষোভের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
বেলা ১১টায় শহরের খুলনা রোড মোড় আটকে করে দেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। তাদের সঙ্গে আরও শিক্ষার্থীরা যোগ দিতে শুরু করেছেন।
অন্যদিকে, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা অসহযোগ আন্দোলনের ফলে বন্ধ হয়ে আছে দূর পাল্লার বাস। সড়কে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছেন।
অভ্যন্তরীণ রুটের কিছু যাত্রীবাহী বাস চললেও সেগুলোতে যাত্রী সংকট রয়েছে। শহরের নারকেলতলা মোড়ে থাকা বাসের চালক বলেন, "আন্দোলনের কারণে মানুষ বাইরে আসছে না। যাত্রী নেই। কাল থেকে আর গাড়ি চালাবো না।"
এক দফা আদায়ে রাজশাহী-ঢাকা মহাসড়কে জড়ো হচ্ছেন আন্দোলনকারীরা
এক দফার দাবিতে পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রুয়েট) প্রধান ফটকের সামনে রাজশাহী ঢাকা মহাসড়কের ওপর জমায়েত হতে শুরু করেছেন শত শত আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। তাদের সঙ্গে যোগ দিচ্ছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষজন।
ইতোমধ্যে শিক্ষার্থীদের অবস্থানের কারণে সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে পড়েছে। আন্দোলনে অংশ নিয়ে শিক্ষার্থীরা স্লোগানে স্লোগানে প্রকম্পিত করে তুলেছেন পুরো এলাকা।
এদিকে, পাশেই তালাইমারী ও কাজলায় এলাকায় পুলিশ সতর্ক অবস্থানে থাকলেও আন্দোলনকারীদের মিছিলে অংশ নিতে কোনো বাধা দেননি তারা।
সিলেটে যান চলাচল কম, খোলেনি বিপণিবিতান
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা অসহযোগ আন্দোলনের প্রথম দিনে সিলেট থেকে বন্ধ রয়েছে সব ধরনের দূরপাল্লার বাস চলাচল। আন্তঃজেলা দু-একটি বাস চললেও যাত্রী সংখ্যা খুবই কম।
রোববার সকালে সিলেট কেন্দ্রিয় বাস টার্মিনালে গিয়ে এ দৃশ্য দেখা যায়।
সিলেট জেলা পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মইনুল ইসলাম বলেন, "সংঘাতের ভয়ে আজকে বেশিরভাগ চালক বাস নিয়ে রাস্তায় নামতে রাজি হননি। এছাড়া আজ যাত্রীও নেই।"
এদিকে, নগরেও আজ স্বাভাবিকের তুলনায় যান চলাচল অনেকটা কম। তবে কিছু রিকশা ও অটোরিকশা চলছে। বন্ধ রয়েছে নগরের বিপণী বিতানগুলো। বেশির ভাগ দোকানও বন্ধ। তবে গলির ভেতরের দোকানপাট খোলা রয়েছে।
এদিকে, মৌলভীবাজার থেকে দুরপাল্লা বাস ছেড়ে যাচ্ছেনা; তবে অভ্যন্তরীণ সড়কগুলোতে যানবাহন চলাচল করছে।
শহরের মোড়ে মোড়ে আওয়ামী লীগ ও আইনশৃংখলা বাহিনী অবস্থান নিয়েছে।
বরাবরের মত শান্ত থাকা মৌলভীবাজারে আজ এখনো কোনো অপ্রতিকর ঘটনা ঘটেনি। এখন পর্যন্ত আন্দোলনকারীদের কোথাও দেখা যায়নি।
ফাঁকা লক্ষ্মীপুরের রাস্তাঘাট, চলছে না দূরপাল্লার বাস
সকাল থেকে অনেকটাই ফাঁকা লক্ষ্মীপুরের রাস্তাঘাট। সকাল ১০টা থেকে বৈষম্য বিরোধী ছাত্ররা ঝুমুর মোড়ে নেমে ঢাকা-লক্ষ্মীপুর সড়ক অবরোধ করে। লক্ষ্মীপুর থেকে দূরপাল্লার কোন বাস চলাচল করছে না।
অন্যদিকে, সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কিছু সংখ্যক আওয়ামী লীগের কর্মীকে উত্তর স্টেশন মোড়ে অবস্থান নিতে দেখা গেছে।
ফরিদপুরে ছাত্রলীগ ও আওয়ালীগ অফিসে আগুন
ফরিদপুরে কোটা আন্দোলনকারীদের মিছিল জনস্রোতে পরিনত হয়েছে। কোটা আন্দোলনের মিছিলটি ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজের হাসপাতালের সামনে থেকে শুরু হয়ে ফরিদপুর সরকারি রাজেন্দ্র কলেজের সামনে গিয়ে ছাত্রলীগের কার্যালয়ে আগুন দেয়। এর আগে আন্দোলনকারীরা ফরিদপুর শহরে রাসেল স্কয়ারে আওয়ামী লীগ অফিসের সামনে আগুন দেয়। এতে প্রায় ৫০টি মোটরসাইকেল পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
ছাত্রলীগের অফিসের সামনে পুলিশ তাদের গতিরোধ করলে পরে সেখান থেকে তারা ছত্রভঙ্গ হয়ে বিভিন্ন দলে ভাগ হয়ে যায়। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত তারা শহরের বিভিন্ন স্থানে অবস্থান নিয়েছে।
এ সময় পুলিশের তরফ থেকে কোন রকম বাধা দেওয়া হয়নি।
বগুড়ায় পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষে নিহত এক
বগুড়ার দুপচাঁচিয়ায় বৈষম্যবিরোধী কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের সাথে পুলিশের সংঘর্ষে মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে একজন নিহত হয়েছেন। নিহতের নাম মুনিরুল ইসলাম। তার বাড়ি কাহালু উপজেলার বীরকেদার এলাকায়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনাকারীরা অসহযোগ আন্দোলনের ডাকে বগুড়া-নওগাঁ মহাসড়কের দুপচাঁচিয়া উপজেলার সামনে সকাল ১০ টার দিকে অবস্থান নেন। এক সময় উত্তেজিত জনতা নেতাকর্মীদের উপস্থিতি টের পেয়ে আওয়ামী লীগের পার্টি অফিসে হামলা করেন। পরে সেখানে থাকা একটি পুলিশ বক্স ভাঙচুর করা হয়। উপজেলা ভূমি অফিসসহ একাধিক সরকারি স্থাপনায় হামলা করা। এ সময় পুলিশের সাথে আন্দোলনকারীদের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। এক পর্যায়ে পুলিশ থানার মধ্যে অবস্থান নেন। তখন আন্দোলনকারীরা থানার গেট ভাঙচুরের চেষ্টা চালায়। পরে থানার মধ্যে থেকে পুলিশ আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ারশেল ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করেন। এ সময় ১২ জন গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছেন। আন্দোলনকারী ও পুলিশের সংঘর্ষের মধ্যে আহত হয়ে মুনিরুল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মারা যান।
একজনের মারা যাওয়া খবর নিশ্চিত করেঝেন বগুড়ার দুপচাঁচিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোছা. শামসুন্নাহার। মুনিরুলের মাথায় গুলি লেগেছিল বলে জানিয়েছেন তিনি।
রাজশাহীতে আওয়ামী লীগের কার্যালয়সহ সরকারি স্থাপনা ভাঙচুর ও আগুন
রাজশাহীর মোহনপুরে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়, উপজেলা চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান এবং মোহনপুর থানা ও মোহনপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের অফিসে ব্যাপক ভাংচুর ও আগুন দিয়েছে বিক্ষুব্ধ আন্দোলনকারীরা। আজ দুপুর ১২ টার দিকে বিক্ষুব্ধ আন্দোলবকারীরা এসব ঘটনা ঘটান। এসময় মোহনপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) গাড়িসহ বেশ কয়েকটি টহল গাড়িতে আগুন দেওয়া হয়। এছাড়া আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে মোহনপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়। আন্দোলনকারীরা মোহনপুর বাজারে অবস্থান করে বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছে।
মোহনপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আয়শা সিদ্দিকা বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অতিরিক্ত মোতায়েন করা হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করা যায়নি। মোহনপুর থানা থেকে এখনো ধোঁয়া বের হচ্ছে। আন্দোলনকারীদের মব এসে ভাংচুর চালিয়েছে।