সহিংসতা-লুটপাটের নিন্দা আসক-এর; সংখ্যালঘুদের সুরক্ষায় দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের আহ্বান
রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে নাশকতা, লুটপাট, ভাঙচুর ও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর হামলার নিন্দা জানিয়েছে আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক)।
জনগণের জানমাল রক্ষায় ও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জনগণের সুরক্ষায় দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনে দায়িত্বপ্রাপ্তদের প্রতি আহবান জানিয়েছে সংস্থাটি।
সোমবার (৫ আগস্ট) আসক চেয়ারপার্সন জেড. আই. খান পান্না স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।
সোমবার ক্ষমতা থেকে পদত্যাগ করেন শেখ হাসিনা। এরপর বেলা আড়াইটার দিকে বঙ্গভবন থেকে একটি সামরিক হেলিকপ্টারে চড়ে ছোট বোন শেখ রেহানাসহ ভারতের উদ্দেশে রওনা দেন। বর্তমানে তিনি দিল্লিতে অবস্থান করছেন।
শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও দেশত্যাগের পর দেশের বিভিন্ন স্থানে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। এতে এখন পর্যন্ত অন্তত ১১৫ জন নিহত হয়েছেন।
আসক-এর বিবৃতিতে বলা হয়, শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশত্যাগের পর গণভবন, সংসদভবনসহ দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় হামলা এবং লুটপাট চালানো হচ্ছে। কেউ কেউ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মুর্যাল ভাঙচুর, ৩২ নাম্বারের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করার ছবিও গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে।
'এছাড়া, প্রধান বিচারপতির বাড়িতে হামলার মত ন্যাক্কারজনক ঘটনাও ঘটেছে। এমনকি, দেশের বিভিন্ন স্থানে থানা, প্রাক্তন সংসদ সদস্যদের বাড়ি, প্রশাসনিক ভবন, কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুর চালানো হয়েছে।
'বিশেষত, দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে হিন্দুসহ ধর্মীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর হামলা, তাদের ধর্মীয় উপাসানালয় ভাঙচুরের তথ্য [গণমাধ্যমে] পাওয়া যাচ্ছে। পাশাপাশি, গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠান বিশেষত ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ায় হামলা এবং গণমাধ্যমকর্মীদের ওপর আক্রমণ চালানোর অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে,' বলা হয় বিবৃতিতে।
এ সব ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে মানবাধিকার ও আইনগত সহায়তা কেন্দ্র আসক সকলকে সহিংসতা পরিহার করে ধৈর্যশীল আচরণ করার অনুরোধ জানিয়েছে।
'দেশের সাধারণ জনগণের জানমাল রক্ষায়, বিশেষত, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জনগণের সুরক্ষায় দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনে দায়িত্বপ্রাপ্তদের প্রতি [আসক] আহবান জানাচ্ছে,' বলা হয় বিবৃতিতে।