বৃহস্পতিবারের মধ্যে যোগ না দেওয়া পুলিশ সদস্যদের কাজে অনিচ্ছুক বলে গণ্য করা হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
অন্তর্বর্তী সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, কর্মবিরতিতে যাওয়া পুলিশ সদস্যদের কাজে যোগ দেওয়ার জন্য নির্দিষ্ট তারিখ দেওয়া হবে। এর মধ্যে কাজে যোগ না দিলে পুলিশ সদস্যদের কাজে অনিচ্ছুক বলে ধরে নেওয়া হবে।
আজ রোববার (১১ আগস্ট) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, সম্প্রতি যা কিছু ঘটেছে, তার সবকিছুরই বিচার হবে।
পুলিশদের থানায় ফিরে যাওয়ার আহ্বান জানিয়ে সাখাওয়াত হোসেন বলেন, "পুলিশ সদস্যদের সব দাবি মেনে নেওয়া হবে। একইসঙ্গে পুলিশের পক্ষ থেকে সড়কে যানজট নিরসনে কাজ করা শিক্ষার্থীদের সনদ দেওয়া হবে।"
পুলিশের উদ্দেশে তিনি আরও বলেন, "যা কিছু ঘটেছে, তার বিচার বিভাগীয় তদন্ত হবে। তদন্ত অনুযায়ী, বিচারবিভাগ বিচার করবে। এতে কারোর ভীত হওয়ার কিছু নেই। নির্দোষ কেউ কোথাও কোনোভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন না।"
জনগণের উদ্দেশ্য তিনি বলেন, "পুলিশের গায়ে হাত দেবেন না। পুলিশের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করছেন নিশ্চয়ই। ডাকাতি হচ্ছে বা ডাকাতির ভয় পাচ্ছেন। ফলে দয়া করে বোঝার চেষ্টা করুন, পুলিশের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।"
'চাঁদাবাজি করলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা; পা ভেঙে দেওয়া হবে'
আজ প্রথম সচিবালয়ে এসে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা রাজনৈতিক দলগুলোকে হুঁশিয়ারি দিয়ে আরও বলেন, "কেউ চাঁদাবাজি করলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পা ভেঙে দেওয়া হবে।"
এ বিষয়ে ইতোমধ্যে তিনি সেনাপ্রধানের সঙ্গে আলাপ করেছেন বলেও জানান।
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, "একটি রাজনৈতিক দল যাদের সাথে বঙ্গবন্ধু, স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসজড়িত- তাদের অবস্থা দেখেন, পালিয়ে বেড়াচ্ছে। একটা বিশেষ পরিস্থিতি দেশে তৈরি হয়েছে। তার সুযোগ আপনারা নিচ্ছেন, এটা বন্ধ করেন। আমার কাছে খবর আসছে, কারওয়ান বাজারে চাঁদাবাজি, একটি ব্যাংকে ঢুকে গোলাগুলি করে দখলের চেষ্টা হচ্ছে। এভাবে চলবে না।"
তিনি নিজেকে ফৌজি দাবি করে বলেন, "আমি যা বলি তাই করি।"
জনগণের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, "কাউকে চাঁদা দেবেন না। কেউ চাঁদা চাইতে আসলে তাকে ধরে রাখুন।"