কোটা সংস্কার আন্দোলনে হত্যা মামলার বিচার হবে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে: আইন উপদেষ্টা
কোটা সংস্কার আন্দোলনে হত্যা মামলার বিচার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হবে; এমনটাই জানিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল। আজ (বুধবার) সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানান তিনি।
আইন উপদেষ্টা বলেন, "গণহত্যা, গুলি বর্ষণ এই সমস্ত ঘটনার বিচারের জন্য ইতিমধ্যে কিছু মামলা হয়েছে। রাজপথে থাকা বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন, মানবাধিকার সংগঠন এবং বিভিন্ন গোষ্ঠী দাবি করেছে এটাকে মানবতাবিরোধী অপরাধ হিসেবে বিচারের সুযোগ আছে কি-না। আমরা সেটি খতিয়ে দেখেছি।"
আসিফ নজরুল বলেন, "আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত আইনে জুলাই ও আগস্টের গণহত্যার জন্য দায়ী যে সমস্ত ব্যক্তিবর্গ আছেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে তাদের বিচারের জন্য আমরা ইতিমধ্যে ছোটখাটো গবেষণা করে দেখেছি। এই আইনের মাধ্যমে এসব হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত ব্যক্তিরা এবং বিভিন্ন সময় যারা আদেশ দিয়েছেন ও সহযোগিতা করেছেন তাদের সকলকেই বিচারের আওতায় আনার সম্ভব।"
"আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে এসব মামলার বিচার করব। এই বিচারের আওতায় বিগত পর্যায়ের সর্বোচ্চ পর্যায়ের ব্যক্তিদের সংশ্লিষ্টতা খতিয়ে দেখে উনাদেরও বিচার করা সম্ভব বলে আমরা মনে করছি", যোগ করেন তিনি।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন টিমকে রি-অর্গানাইজ করার চেষ্টা চলছে জানিয়ে আইন উপদেষ্টা বলেন, "আদালত একটু পরে করব। জাতিসংঘের তত্ত্ববধানে ইনভেস্টিগেশন করার চেষ্টা করছি। জাতিসংঘ থেকে আমাদের বারবার সহযোগিতার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।"
এদিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে কেন্দ্র করে গত ১ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত সারাদেশে দায়েরকৃত সব মামলা প্রত্যাহার করবে সরকার। এমনটাই জানিয়েছেন আসিফ নজরুল।
এক্ষেত্রে ঢাকার মামলাগুলো আগামীকালের (বৃহস্পতিবার) মধ্যে এবং ঢাকার বাইরের মামলাগুলো আগামী ৩১ আগস্টের মধ্যে প্রত্যাহার করা হবে।
আইন উপদেষ্টা বলেন, "মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলাগুলো তিন দিনের মধ্যে প্রত্যাহার করা সম্ভব হয়নি। কারণ পুলিশের সহযোগিতা প্রয়োজন। বর্তমানে সব থানাতে পুলিশ কার্যক্রম শুরু করেছে। ফলে মামলা প্রত্যাহার করা হবে এখন।"