আশুলিয়ায় ১০ম শ্রেণির শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় সাবেক দুই এমপিসহ ১১৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা
ঢাকার আশুলিয়ায় গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণআন্দোলনে সংঘর্ষে আস-সাবুর (১৬) নামে ১০ম শ্রেণির এক শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় ঢাকা-১৯ আসনের সাবেক দুই সংসদ সদস্য মো. সাইফুল ইসলাম ও তালুকদার মো. তৌহিদ জং মুরাদসহ (মুরাদ জং) মোট ১১৯ জনকে আসামি করে আশুলিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন সাহিদ হাসান ওরফে মিঠু নামে স্থানীয় এক ব্যক্তি।
শুক্রবার (১৬ আগস্ট) রাতে আশুলিয়া থানায় মামলাটি দায়ের করেন সাহিদ হাসান। মামলার এজাহারে তিনি নিজেকে নিহত আস-সাবুরের 'প্রতিবেশী চাচাতো ভাই' হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
মামলা দায়েরের বিষয়টি টিবেএসকে নিশ্চিত করেছেন আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এএফএম সায়েদ।
নিহত আস-সাবুর (১৬) নওগাঁ জেলার মহাদেবপুর থানাধীন মহাদেবপুর গ্রামের এনাফ নায়েদ ওরফে জাকিরের ছেলে। মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে, সে পরিবারের সঙ্গে আশুলিয়ার জামগড়া শিমুলতলা এলাকার একটি ভাড়া বাসায় বসবাস করত এবং স্থানীয় শাহীন স্কুলের দশম শ্রেণিতে অধ্যয়নরত ছিল।
১১৯ আসামির মধ্যে মামলায় আশুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহাব উদ্দিন মাদবর, পাথালিয়া ইউপি চেয়ারম্যান পারভেজ দেওয়ান ও ইয়ারপুর ইউপি চেয়ারম্যান শামীম আহমেদ সুমনসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীদের আসামি করা হয়েছে।
মামলার এজাহারে বলা হয়, গত ৫ আগস্ট বেলা ১১টার দিকে আস-সাবুর প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনতে আশুলিয়ার বাইপাইল এলাকায় যায়। পরে দুপুর ২টা নাগাদ তার মৃত্যুর সংবাদ পায় তার পরিবার। পরবর্তীতে মামলার বাদী জানতে পারেন, আন্দোলন চলাকালে মামলায় উল্লিখিত আসামীরা লাঠিসোঁটা দিয়ে পিটিয়ে এবং গুলি করে আস-সাবুরকে হত্যা করেছেন।
যোগাযোগ করলে মামলার বাদী সাহিদ হাসান মুঠোফোনে টিবিএসকে বলেন, তিনি একজন সচেতন মানুষ হিসেবে আস-সাবুর পরিবারের পক্ষে মামলাটি দায়ের করেছেন। এছাড়া আস-সাবুরের পরিবার দরিদ্র উল্লেখ করে আস-সাবুর হত্যার সঠিক বিচার এবং তার পরিবারকে যথাযথ ক্ষতিপূরণ দেওয়ারও দাবি জানান তিনি।
এছাড়া টিবিএসের কাছে সাহিদ হাসান দাবি করেন, তিনি কোনো রাজনৈতিক দলের সাথে যুক্ত নন। এর আগে তিনি ডিইপিজেডের একটি পোশাক কারখানায় কাজ করতেন।
তবে নিজের সম্পর্কে বিস্তারিত জানাতে অনাগ্রহ প্রকাশ করেন সাহিদ।