৪৮ ঘণ্টার মধ্যে এফবিসিসিআইয়ের পরিচালনা পর্ষদ বাতিলের দাবি সাধারণ পরিষদের সদস্যদের
ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) বর্তমান পরিচালনা পর্ষদ বাতিল করে প্রশাসক নিয়োগের দাবি জানিয়েছে সংগঠনটির সাধারণ পরিষদের সদস্যরা। আজ (বুধবার) মতিঝিলের এফবিসিসিআই ভবনের সামনে এই দাবিতে মানববন্ধন করা হয়।
সাধারণ পরিষদের সমন্বয়ক ও এফবিসিসিআই-এর সাবেক সভাপতি আবুল কাশেম হায়দার মানববন্ধনে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে এ দাবি জানিয়ে বলেন, "স্বৈরাচার পালিয়ে গেলেও তার দোসররা এখনও এফবিসিসিআই-এর পরিচালনা পর্ষদে আছেন। বিগত ১৫ বছর যাবৎ এফবিসিসিআই- এর কার্যক্রম, ব্যবসা, শিল্প, বাণিজ্য ও সেবাখাতের স্বার্থ সার্বিকভাবে পরিচালিত হয় নাই। বরং অনির্বাচিত, একদলীয় স্বৈরাচারী সরকারের তোষামোদি, ব্যক্তিগত স্বার্থ হাসিলসহ রাজনৈতিক এজেন্ডা বাস্তবায়নে তৎপর ছিল।"
একইসাথে রাজনৈতিক মদদপুষ্ট কিছু অসাধু, অ-ব্যবসায়ী এফবিসিসিআই-এর অফিসকে দলীয় কার্যালয়ে পরিণত করে বিভিন্ন বাজার সিন্ডিকেট-এর মাধ্যমে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের মূল্য অস্বাভাবিক বৃদ্ধি করে দেশের আপামর সাধারণ মানুষের জীবন দুর্বিষহ করে তুলেছিল বলে অভিযোগ করেন তিনি।
আবুল কাশেম হায়দার বলেন, "আমরা জুলাই ১৫ থেকে ৫ আগষ্ট পর্যন্ত নিহত প্রায় এক হাজার শহীদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করি এবং প্রায় দশ হাজার আহতদের সমবেদনা জ্ঞাপন করি। অত্যন্ত দুঃখের বিষয় নিহত বা আহতদের পাশে এফবিসিসিআই পরিচালনা পর্ষদ দাড়ায়নি। বরং স্বৈরাচারী সরকারের পক্ষে অবস্থান নিয়ে সরকারকে তেল মর্দনে ব্যস্ত ছিল।"
সংগঠনের সাবেক এই সভাপতি আরও বলেন, "৫ই আগষ্টের ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের নিহত-আহত ছাত্রদের রক্তের ঋণ পরিশোধের জন্য আমরা আজকে এফবিসিসিআই এর সাধারণ পরিষদের সদস্যবৃন্দ মানববন্ধন করছি। আমাদের দাবী, স্বৈরাচারের দোসর এফবিসিসিআই-এর পরিচালনা পর্ষদ এই মুহুর্তে পদত্যাগ করুক। অন্যথায়, সরকার এফবিসিসিআই-এর পরিচালনা পর্ষদ বাতিল করে প্রশাসক নিয়োগ করুক।"