আগাম সতর্ক করা হয়েছিল কিনা ভারতের কাছে জানতে চাইবে বাংলাদেশ: রিজওয়ানা
উজানে ভারতের বাধ খুলে দেওয়া এবং অতিবৃষ্টির কারণে বাংলাদেশের ৮টি জেলায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। এই অবস্থায়, আগাম সতর্ক করা হয়েছিল কিনা– তা ভারতের কাছে জানতে চাইবে বাংলাদেশ।
আজ বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) বিকেল তিনটায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনার সামনে এক সংক্ষিপ্ত প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন পরিবেশ ও পানি উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
তিনি বলেন, ফ্ল্যাশ ফ্লাডগুলোর (আকস্মিক বন্যার) ক্ষেত্রে আমরা কী ধরনের আগাম সতর্কতা পেতে পারি; আমাদের আগাম সতর্ক করা হয়েছিল কিনা; ভবিষ্যতে এধরনের পরিস্থিতি এড়াতে রাষ্ট্রগুলো কিভাবে কাজ করতে পারে; সুনির্দিষ্ট কি পদক্ষেপ নিতে পারে — এসব বিষয়ে কথা বলতে আজকে প্রধান উপদেষ্টার সাথে ভারতীয় রাষ্ট্রদূতের একটি বৈঠক হবে।
রিজওয়ানা হাসান আরো বলেন, আমাদের উপদেষ্টামণ্ডলীর আজকের বৈঠকে সবচেয়ে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে দেশের চলমান বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে। আমাদের করণীয়, সমন্বয়, ভুক্তভোগীদের দুর্ভোগ ও ফেনীতে নজিরবিহীন বন্যার কারণ নিয়ে আলোচনা হয়েছে। বন্যাকবলিত প্রতিটি জেলায় আমাদের উপদেষ্টামন্ডলীর সদস্যরা সফর করবেন। ত্রাণের দায়িত্বে যিনি আছেন– তিনি ইতোমধ্যে রওনা হয়েছেন। তিনি ত্রাণ কাজে সমন্বয় আনার চেষ্টা করবেন।
এছাড়া আমাদের উপকূলে যেন বিদেশি জেলেরা মাছ ধরতে না পারে– এজন্য কোস্টগার্ডকে নির্দেশ দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানান উপদেষ্টা পরিষদের এই সদস্য।
এর আগে বাংলাদেশে আকস্মিক বন্যা ত্রিপুরার ডম্বুর বাঁধ খুলে দেয়ার কারণে হয়নি বলে এক বিবৃতি দাবি করে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
বিবৃতিতে বলা হয়— 'বাংলাদেশে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে যে, দেশটির পূর্বাঞ্চলীয় সীমান্তবর্তী জেলাগুলোর বর্তমান বন্যা পরিস্থিতি ত্রিপুরায় গোমতী নদীর উজানে ডাম্বুর বাঁধের পানি ছাড়ার কারণে হয়েছে। এটি প্রকৃতপক্ষে সঠিক নয়।
ভারত সরকার আরো দাবি করে, দ্বিপাক্ষিক প্রোটোকলের অংশ হিসেবে আমরপুর কেন্দ্র হতে তারা বাংলাদেশের কাছে বন্যার তাৎক্ষণিক তথ্য সরবরাহ করেছে, এবং ২১ আগস্ট বিকাল ৩টা পর্যন্ত বাংলাদেশকে বন্যার তথ্য সরবরাহ করা হয়েছে। দেশটি জানিয়েছে, সন্ধ্যা ৬টায় বন্যার কারণে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে যোগাযোগে সমস্যা দেখা দেয়। তবুও, আমরা জরুরি তথ্য প্রেরণের জন্য অন্যান্য মাধ্যমের মাধ্যমে যোগাযোগ বজায় রাখার চেষ্টা করেছি।
অর্থাৎ, মাঝরাতে আগাম সতর্কতা ছাড়াই বাধ খুলে দেওয়ার যে অভিযোগ, সেবিষয়ে যৌক্তিক ব্যাখ্যা দিতে পারেনি নয়াদিল্লি।