নির্বাচন কমিশনারদের দায়মুক্তির বিধান কেন অবৈধ হবে না, জানতে চেয়ে হাইকোর্টের রুল
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) ও নির্বাচন কমিশনার (ইসি) নিয়োগ আইন, ২০২২ এর ৯ ধারায় দেওয়া দায়মুক্তির বিধান কেন অবৈধ ও সংবিধানের পরিপন্থী ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
এ ধারা ২০১৪ এবং ২০১৮ সালের নির্বাচনের সময় নির্বাচন কমিশনারদের নিয়োগ নিয়ে আদালতে প্রশ্ন তোলার ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল।
আজ (২৭ আগস্ট) বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান এবং বিচারপতি মুহাম্মদ মাহবুব উল ইসলামের যৌথ হাইকোর্ট বেঞ্চ থেকে এই রুল জারি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির।
কেবিনেট সচিব, আইন সচিব, নির্বাচন কমিশন সচিব এবং অন্যান্য সংশ্লিষ্টদের চার সপ্তাহের মধ্যে এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
১৮ আগস্ট ধারা-৯ কে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা হিসেবে রিটটি করেন আইনজীবী আব্দুল্লাহ সাদিক, জিএম মোজাহিদুর রহমান, মুহাম্মদ মিসবাহ উদ্দিন, মো. জোবায়দুর রহমান, মোহাম্মদ নোয়াব আলী, আজিম উদ্দিন পাটোয়ারী, মোহাম্মদ সাজ্জাদ সরোয়ার, মো. মুজাহেদুল ইসলাম, মো. মিজানুল হক ও মীর কেএম নুরুন নবী।
অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির বলেন, "ধারা ৯ অনুযায়ী, পূর্বের সার্চ কমিটি সুপারিশের ভিত্তিতে চিফ ইলেকশন কমিশনার এবং অন্যান্য নির্বাচন কমিশনারদের নিয়োগ বৈধ ঘোষণা করে এবং আদালতকে এই নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন তোলার নিষেধাজ্ঞা দেয়।"
বাদী পক্ষের দাবি, ধারা ৯ বিচারিক পর্যালোচনার অধিকার ক্ষুন্ন করে এবং বিচার বিভাগের ক্ষমতাকে সীমিত করে।
অ্যাডভোকেট মনির বলেন, "এই ধারা সংবিধানের ২৬, ২৭, এবং ৩১ ধারা বিরোধী এবং কর্তৃত্ববিভাগ ও বিচারিক স্বাধীনতার নীতির বিরুদ্ধে। এটি বিচার বিভাগের কর্তৃত্বকে নস্যাৎ করে এবং এটি সম্পূর্ণভাবে সংবিধানবিরোধী।"