স্বামীর সন্ধান পেতে ডিএমপি কমিশনারের কাছে নিখোঁজ পুলিশ কর্মকর্তার স্ত্রীর চিঠি
সহকারী পুলিশ কমিশনার ইফতেখার মাহমুদের সন্ধান পেতে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার মাইনুল হাসানের শরণাপন্ন হয়েছেন নিখোঁজ পুলিশ কর্মকর্তার স্ত্রী।
গত ২৪ আগস্ট ডিএমপি কমিশনার বরাবর একটি চিঠি দেন ইফতেখারের স্ত্রী সাবা তাহসীন। চিঠিতে তিনি তার নিখোঁজ স্বামীর সন্ধান পেতে সহযোগিতা চান ।
ইফতেখার মাহমুদ মহানগরীর গোয়েন্দা বিভাগের গুলশান জোনে কর্মরত ছিলেন।
এ বিষয়ে বুধবার (২৮ আগস্ট) সাবা তাহসীন মুঠোফোনে দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড (টিবিএস)-কে জানান, তারা এখনও ইফতেখারের খোঁজ পাননি।
ডিএমপি কমিশনার বরাবর দেওয়া চিঠিতে বলা হয়েছে, গত ৫ আগস্ট ইফতেখার মাহমুদ বাড্ডা থানায় দায়িত্ব পালন করেন। এদিন সরকার পতন হলে তিনি প্রাণবাঁচিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। এ সময় তার সঙ্গে ইস্যুকৃত অস্ত্র ছিল।
ইফতেখার মাহমুদ ৬ থেকে ১০ আগস্ট এয়ারফোর্সের ফ্যালকন টাওয়ারে একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার কাছে আশ্রয়ে ছিলেন উল্লেখ করে চিঠিতে বলা হয়, তিনি ইস্যুকৃত অস্ত্রটি এয়ারফোর্স অফিসার আবদুল্লাহ ইবনে আলতাফের কাছে রেখে ১১ তারিখ বাড়ি ফেরেন। পরের দিন ইস্যুকৃত অস্ত্রটি নেওয়ার জন্য আবদুল্লাহ ইবনে আলতাফকে একাধিকবার কল ও মেসেজ করেন ইফতেখার। কিন্তু কোনো উত্তর পাওয়া যায়নি।
১৩ আগস্ট ইফতেখার জানতে পারেন ওই এয়ারফোর্স অফিসার হাউজ অ্যারেস্ট আছেন। বিষয়টি জানার পর নিজের ইস্যুকৃত অস্ত্রের জন্য চিন্তিত ছিলেন ইফতেখার।
এ বিষয়ে ইফতেখার ১৭ আগস্ট তেজগাঁও থানায় একটি সাধারন ডায়েরি (জিডি) করেন উল্লেখ করে চিঠিতে সাবা তাহসীন বলেন, জিডি দায়েরের চারদিন পর ২২ আগস্ট পুলিশ কর্মকর্তা ইফতেখারের কাছে কল আসে। তিনি ওই দিন সকাল সাড়ে ১০টায় ড্রাইভারসহ তেজগাঁও এয়ারফোর্স হেডকোয়ার্টারে যান।
ড্রাইভার আল আমীনের উদ্ধৃতি দিয়ে চিঠিতে বলা হয়, এয়ারফোর্স হেডকোয়ার্টার সামনে থেকে একজন ইফতেখারকে রিসিভ করে ভিতরে নিয়ে যান। এরপর থেকে তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। ঘন্টাখানেক অবস্থানের পর আল আমীন হেডকোয়ার্টারের একজনকে জিজ্ঞেস করলে তাকে জানানো হয় ইফতেখারকে নিয়ে একজন অফিসার বের হয়ে গেছেন। বিষয়টি জানার পর ইফতেখারের ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন সাবা।
পরবর্তী দুই দিন ডিবি অফিস ও এয়ারফোর্স অফিস থেকে কোন সাহায্য পায়নি উল্লেখ করে চিঠিতে ডিএমপি কমিশনার সহযোগিতা চায় সাবা তাহসীন।
চিঠি দেওয়ার পর পুলিশের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে সাবা তাহসীন বলেন, 'কমিশনার মহোদয় বলেছেন ইফতেখার ভালো আছে। কিন্তু কোথায় আছে তা বলছে না। তার অবস্থান না জানা পর্যন্ত আমরা তার (কমিশনার) কথায় আশ্বস্ত হতে পারছি না।'
এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে ডিএমপি কমিশনারের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।