পর্যটন সেবায় ভ্যাট প্রত্যাহার ও বিধিমালা সংস্কারের দাবি ট্যুর অপারেটরদের
ট্যুর অপারেটরের সেবার ওপর আরোপিত ১৫ শতাংশ ভ্যাট প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশের পর্যটন খাতের শীর্ষ সংগঠন ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (টিওএবি)।
গতকাল (২৫ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটি "ট্যুর অপারেটর ও ট্যুর গাইড আইন, ২০২৪" এর অসংগতিগুলো সমাধানের জন্যও সরকারের প্রতি আহ্বান জানায়।
অনুষ্ঠানে টিওএবি'র সভাপতি মো. রাফিউজ্জামান বলেন, নতুন নিয়ম অনুযায়ী লাইসেন্স পেতে হলে ট্যুর অপারেটরদের ৫০ হাজার টাকা নিবন্ধন ফি, ১০ লাখ টাকার ব্যাংক ব্যালেন্স সনদ এবং ৩ লাখ টাকা জামানত জমা দিতে হবে।
এমন শর্তগুলো ট্যুর অপারেটরদের জন্য অবাস্তব হয়ে উঠছে উল্লেখ করে মো. রাফিউজ্জামান বলেন, "এটি নতুন উদ্যোক্তাদের দেশের পর্যটন শিল্পে এগিয়ে আসতে নিরুৎসাহিত করবে।"
তিনি আরও বলেন, পর্যটন খাতকে সহায়তা করতে ট্যুর অপারেটরদের সেবায় আরোপিত করগুলো প্রত্যাহার করা জরুরি। "এই করগুলো ইতোমধ্যেই অপারেটরদের প্রস্তাবিত প্যাকেজের মোট মূল্যের সঙ্গে অন্তর্ভুক্ত করা রয়েছে।"
তিনি বলেন, "যদি এখন পর্যটন উপাদানের সাথে প্যাকেজে আবারও কর আরোপ করা হয় বা ট্যুর অপারেটর সেবায় ১৫ শতাংশ মুসক (ভ্যাট) ধার্য করা হয়, তাহলে ভ্রমণের খরচ অনেক বেড়ে যাবে এবং এটি শিল্পের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলবে।
সংগঠনের অন্যান্য দাবির মধ্যে রয়েছে: রপ্তানি পণ্যগুলোর স্বীকৃতি; আগত পর্যটনের জন্য প্রণোদনা ও অন্যান্য সুবিধা প্রদান; পর্যটকদের জন্য ব্যবহৃত সড়ক পরিবহণ, নৌকা, আবাসন ও বিভিন্ন যন্ত্রপাতির ওপর করমুক্ত বা শুল্কছাড়া সুবিধা প্রদান এবং বিদেশি মুদ্রা ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে আগত ট্যুর অপারেটরদের মোট বিলের ওপর ১০ শতাংশ অগ্রিম আয়কর কর্তনের প্রক্রিয়া বন্ধ করা।
তারা পার্বত্য চট্টগ্রামে পর্যটকদের জন্য অনুমোদন গ্রহণ করার প্রক্রিয়া সহজতর করার এবং টেকনাফ থেকে সেন্ট মার্টিন দ্বীপের মধ্যে বিকল্প ভ্রমণ রুট প্রতিষ্ঠারও আহ্বান জানিয়েছে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সদ্য সাবেক সভাপতি শিবলুল আজম কোরেশী, সহ-সভাপতি আবুল কালাম আজাদ ও মো. আনোয়ার হোসেন এবং বাংলাদেশ ট্যুরিজম রিসোর্ট ইন্ডাস্ট্রিজ অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি খবীর উদ্দিন আহমেদসহ অন্যান্য সদস্যরা।