লক্ষ্মীপুরের গ্রামে ধরা পড়ল ২০০ কেজি ওজনের কুমির
লক্ষ্মীপুরের মেঘনা নদীর তীরবর্তী রায়পুর উপজেলার দক্ষিণ চরবংশী ইউনিয়নের খাসিয়ার চর গ্রামে একটি কুমির ধরা পড়েছে। বিশালাকৃতির কুমিরটির ওজন প্রায় ৫ মনের (২শ কেজি) কাছাকাছি বলে ধারণা করছেন স্থানীয়দের।
গতকাল বুধবার (২ অক্টোবর) দিবাগত রাতে খাসিয়ার চরের মাঝি বাড়ির একটি হাঁস-মুরগির খোঁয়াড়ে কুমিরটি হানা দিলে বাড়ির লোকজন সেটিকে ধরে ফেলে। পরবর্তীতে সেটিকে দক্ষিণ চরবংশীর চান্দেরখাল মাছঘাটে নিয়ে আসা হয়। পরে ফায়ার সার্ভিসের লোকজন কুমিরটিকে উদ্ধার করে বন বিভাগের কাছে হস্তান্তর করে।
আজ বৃহস্পতিবার (৩ আগস্ট) দুপুরে কুমিরটিকে বন বিভাগের লোকজন নিজেদের হেফাজতে নেয়।
রায়পুরের খাসিয়ার চরের বাসিন্দা শাহ আলম মাঝি বলেন, "বুধবার ভোরবেলা আমাদের বাড়িতে কুমিরটি আসে। পরে সেটি বাড়ির পাশের পুকুরে নেমে যায়। সারাদিন ওই পুকুরেই ছিল। আমরা আতঙ্কিত হয়ে পড়ি। বিষয়টি স্থানীয় লোকজনকে অবগত করি। তারা কুমিরটি ধরার উদ্যোগ নেয়।"
তিনি বলেন, "রাতে কুমিরটি আমাদের হাঁসমুরগি খেতে খোঁয়াড়ে হানা দেন। পরে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় সেখান থেকে কুমিরটি ধরতে সক্ষম হই।"
তিনি আরও বলেন, "আমাদের বাড়ি থেকে মেঘনা নদীর দূরত্ব দুই কিলোমিটার। কুমিরটি নদী হয়ে ফসলি ক্ষেতের ভেতর দিয়ে আমাদের বাড়িতে আসে। আমি স্থানীয় লোকজনকে সাথে নিয়ে কুমিরটিকে আটক করি। পরে উপজেলা প্রশাসনকে অবহিত করি।"
বিলাল হোসেন নামে স্থানীয় এক যুবক বলেন, "২০ দিন আগে আমি দক্ষিণ চরবংশী ইউনিয়নের খাসিয়ার চরে ঘুরতে গিয়ে খালপাড়ে একটি কুমির দেখতে পাই। মুঠোফোনেও কুমিরের ছবি ধারণ করি। এলাকায় আরও কুমির থাকতে পারে।"
রায়পুর ফায়ারসার্ভিসের ফায়ার ফাইটার আবুল কালাম আজাদ বলেন, "স্থানীয় লোকজন কুমিরটি আটক করে। উপজেলা প্রশাসনের নির্দেশে আমরা কুমিরটি উদ্ধার করে বন বিভাগের কাছে হস্তান্তর করি।"
লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার বন বিভাগের রেঞ্জ সহকারী মতিউর রহমান সোহাগ বলেন, "কুমিরটি আমাদের হেফাজতে নিয়েছি। সেটিকে জেলা অফিসে পাঠানো হবে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।"
তিনি বলেন, বন্যার কারণে পানি বেড়ে যাওয়ায় অন্য কোন এলাকা থেকে খাবারের খোঁজে কুমিরটি এ অঞ্চলে চলে আসতে পারে।