সিলেটে হত্যামামলায় ৫ জনের মৃত্যুদণ্ড
সিলেটের বিয়ানীবাজারে সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালক হযরত আলী (৩০) হত্যামামলায় পাঁচজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তাদের প্রত্যেককে ১৫ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) দুপুরে সিলেটের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-৪ এর বিচারক শায়লা শারমিন আসামিদের অনুপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডিতরা হলেন, সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরের রওশন আলীর ছেলে শহিদুল ইসলাম, দক্ষিণ সুনামগঞ্জের বাদশা মিয়ার ছেলে সুমন আহমদ, দক্ষিণ সুনামগঞ্জের ফজিল বারীর ছেলে শিপু মিয়া, দক্ষিণ সুনামগঞ্জের মুসুক মিয়ার ছেলে জাকারিয়া মুন্ন এবং দক্ষিণ সুনামগঞ্জের হরমুজ আলীর ছেলে মো. রুহল আমিন।
বাদীপক্ষের আইনজীবী জায়েদা বেগম জানান, দণ্ডিত সব আসামিই পলাতক রয়েছেন। মামলায় ১২ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। হযরত আলীকে যখন ছুরিকাঘাত করে ফেলে যাওয়া হয় তখন স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করেন। মারা যাওয়ার আগে তিনি জড়িতদের নাম উল্লেখ করেছিলেন। আদালত যুক্তিতর্ক শেষে ৩০২/৩৪ ধারায় এ রায় দিয়েছেন।
মামলা বিবরণে জানা গেছে, ২০১৪ সালের ১৭ আগস্ট দণ্ডিত আসামিরা হযরত আলীকে নিয়ে সিলেট থেকে বিয়ানীবাজার যান। সেখানে রাত ১১টার দিকে কৌশলে তাকে ছুরিকাঘাত করে সিএনজি নিয়ে পালিয়ে যান তারা। পরদিন নিহতের ভাই শুক্কুর আলী বিয়ানীবাজার থানায় মামলা করেন। দীর্ঘ ১০ বছর পর আজ এ মামলার রায় দিলেন আদালত।
হযরত আলীর বাড়ি সুনামগঞ্জ সদর থানার জাহাঙ্গীর নগর গ্রামে। তবে তিনি দক্ষিণ সুরমা থানার আলমপুর এলাকায় বসবাস করতেন।
রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে শুক্কুর আলী জানান, আমার ভাইকে পরিকল্পিতভাবে খুন করা হয়েছে। দীর্ঘ ১০ বছর পর বিচার পেয়ে খুশি তারা। তবে আসামিরা পলাতক রয়েছেন। তাদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে সাজা কার্যকরের দাবি জানান তিনি।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আব্দুস সাত্তার বলেন, এ রায় সিলেটের জন্য একটি মাইলফলক হয়ে থাকবে। বিজ্ঞ আদালত যুক্তিতর্ক শেষে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর এ রায় দিয়েছেন। আমরা এ রায়ে সন্তুষ্ট।