অবৈধ মজুত ও পণ্যের মূল্য তদারকিতে টাস্কফোর্স গঠন করল বাণিজ্য মন্ত্রণালয়
নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম যৌক্তিক পর্যায়ে রাখতে এবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বাজার, বড় আড়ত, গোডাউন, কোল্ড স্টোরেজ এবং সাপ্লাই চেইনের অন্যান্য ধাপগুলোতে পণ্যের বাড়তি মজুত ঠেকাতে মনিটরিংয়ের জন্য একটি টাস্কফোর্স গঠন করেছে।
সোমবার (৭ অক্টোবর) বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের দ্রব্যমূল্য পর্যালোচনা ও পূর্বাভাস সেল থেকে প্রকাশিত প্রজ্ঞাপনে টাস্কফোর্স গঠনের কথা জানানো হয়।
সরকার এমন সময় এ টাস্কফোর্স গঠন করেছে যখন বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম ব্যাপকভাবে বেড়ে গেছে। ঢাকায় বেশিরভাগ সবজির দামই ৮০–১০০ টাকার মধ্যে রয়েছে, বেগুনের দাম ১২০ টাকায় উঠেছে
টাস্কফোর্সে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসককে আহ্বায়ক করে নয় সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে।
কমিটির অন্যান্য সদস্যদের মধ্যে রয়েছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক বা তার প্রতিনিধি, জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা, কৃষি বিপণন কর্মকর্তা, ক্যাবের প্রতিনিধি, শিক্ষার্থীদের মধ্যে দুইজন প্রতিনিধি এবং জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক।
ভোক্তা অধিদপ্তরের কর্মকর্তা এ টাস্কফোর্সের সদস্য সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। প্রতিটি জেলায় এ কমিটি কাজ করবে।
টাস্কফোর্সের মূল কাজ হবে বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম যৌক্তিক পর্যায়ে রাখা। এজন্য এটি নিয়মিতভাবে বাজার, আড়ত, গোডাউন এবং কোল্ড স্টোরেজগুলো পরিদর্শন করবে।
এছাড়াও উৎপাদন থেকে ভোক্তা পর্যন্ত দামের পার্থক্য ন্যূনতম রাখার বিষয়টি নিশ্চিত করতে এবং সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের সঙ্গে মতবিনিময় করবে টাস্কফোর্স।
প্রতিদিনের মনিটরিং শেষে এ টাস্কফোর্স বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের দ্রব্যমূল্য পর্যালোচনা সেল এবং ভোক্তা অধিদপ্তরে তথ্য প্রদান করবে। সেই তথ্য যাচাই-বাছাই করে মন্ত্রণালয় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে।
সম্প্রতি চালের দাম মানভেদে কেজি প্রতি ৬–৮ টাকা বেড়েছে। তবে সবচেয়ে বেশি আলোচিত হচ্ছে ডিমের দাম, যা এক মাসের ব্যবধানে প্রতি ডজন ১৬০–১৬৫ টাকা থেকে বেড়ে ১৮০–১৮৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।