ঢাকা উত্তরের জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধন সেবা কার্যক্রম পুনরায় চালু
প্রায় দুই সপ্তাহ বন্ধ থাকার পরে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন পরিষেবা কার্যক্রম বুধবার (৯ অক্টোবর) থেকে পুনরায় চালু হয়েছে।
তবে এখন থেকে আঞ্চলিক কার্যালয়ে এ সেবা দেওয়া হবে। এজন্য অঞ্চলগুলোতে একজন করে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এর আগে ঢাকা উত্তরের পুরাতন ওয়ার্ডগুলোতে (ওয়ার্ড ১ থেকে ৩৬) কাউন্সিলরের কার্যালয় থেকে এ সেবা দেওয়া হতো। তবে নতুন ওয়ার্ড ৩৬ থেকে ৫৪ এর সেবা আগেও আঞ্চলিক অফিস থেকেই দেওয়া হতো।
গত ২৬ সেপ্টেম্বর সারা দেশের বিভিন্ন সিটি কর্পোরেশনের ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের অপসারণ করা হলে ঢাকা উত্তর সিটির ওয়ার্ড থেকে জন্ম ও মৃত্যুনিবন্ধন কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। যদিও গত ৫ আগস্টের পর অধিকাংশ ওয়ার্ড কাউন্সিল পলাতক থাকায় কার্যত এ সেবা দেওয়া অনেকটাই বন্ধ ছিল।
ঢাকা উত্তর সিটির জনসংযোগ কর্মকর্তা মকবুল হোসাইন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, 'বুধবার হতে ঢাকা উত্তরের সব ওয়ার্ডে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের মাধ্যমে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন কার্যক্রম নিরবিচ্ছিন্নভাবে পরিচালনা করা হচ্ছে। কাউন্সিলরদের স্ব স্ব পদ হতে অপসারিত হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে ওয়ার্ডভিত্তিক জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন সরবরাহ করার জন্য আঞ্চলিক অফিসের কর্মকর্তাদের দায়িত্ব প্রদান করা হয়েছে। এর ফলে সুষ্ঠুভাবে ডিএনসিসি'র সব ওয়ার্ডে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন সরবরাহ সেবা নিশ্চিত হয়েছে।'
এখন ঢাকা উত্তর সিটির ১০টি অঞ্চলের আওতাধীন ৫৪টি ওয়ার্ডের জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধনের সেবা আঞ্চলিক কার্যালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এবং ওই দপ্তরের একজন সহকারী নিবন্ধকের সহায়তায় দেওয়া হবে।
এর আগে, গত ৩০ সেপ্টেম্বর জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধন ব্যাতীত বাকি নাগরিক সেবা যেমন— নাগরিক সনদ, ওয়ারিশ সনদ, চারিত্রিক সনদ, প্রত্যয়নপত্র, পারিবারিক সনদসহ বিভিন্ন সেবা প্রদানে আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তাকে ক্ষমতা প্রদান করে উত্তর সিটি।
বুধবার জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধনের দায়িত্ব দেওয়ার পরে সকল কার্যক্রম চলে গেলো আঞ্চলিক অফিসগুলোতো।
জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন পেতে প্রথমে অনলাইনের লিঙ্কে গিয়ে আবেদনসহ প্রয়োজনীয় কাগজের অনুলিপি (হাসপাতাল থেকে দেওয়া জন্ম-মৃত্যুর সনদ, টিকা কার্ড, অভিভাবকের জন্মসনদ, জাতীয় পরিচয়পত্র, বাড়ি বা ফ্ল্যাটের প্রমাণ ইত্যাদি) দিতে হবে।
পরে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার কাছে আবেদনের অনুলিপি ও আবেদনের সময় অনলাইনে জমা দেওয়া কাগজপত্রের ফটোকপি প্রমাণ হিসেবে জমা দিতে হবে।
দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কাগজপত্র যাচাই করে সার্ভারে আবেদনটি গ্রহণ করবেন এবং নিবন্ধনের জন্য 'সফটওয়্যারে ফরোয়ার্ড' করবেন। সেই আবেদনে নিবন্ধকের অনুমোদনের পর এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে।