জেড আই খান পান্নার বিরুদ্ধে করা মামলা 'মিথ্যা ও হয়রানিমূলক': আসকের তীব্র নিন্দা
সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী জেড আই খান পান্নার বিরুদ্ধে করা হত্যাচেষ্টা মামলাকে 'মিথ্যা ও হয়রানিমূলক' উল্লেখ করে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক)।
বেসরকারি এই মানবাধিকার সংগঠনটি এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে এবং আশঙ্কা প্রকাশ করেছে, দেশের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি ও মানবাধিকার নিয়ে জেড আই খান পান্নার দেওয়া বক্তব্যের জেরে তাকে মামলার আসামি করা হতে পারে।
আজ রোববার (২০ অক্টোবর) আসক'র সিনিয়র সমন্বয়ক আবু আহমেদ ফরজুল কবির স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে বলা হয়, জেড আই খান পান্না আসকের চেয়ারপার্সন হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শুরু থেকেই ছাত্রদের ন্যায়সংগত দাবি এবং তাদের নেতৃবৃন্দকে আটকের ঘটনায় আইনি লড়াইতে সম্পৃক্ত থেকেছেন। তার নীতি এবং আদর্শের জায়গায় তিনি সরব ছিলেন।
আইন ও সালিশ কেন্দ্র মনে করে, মানবাধিকার বিষয়ে এবং বর্তমান প্রেক্ষাপট-সংশ্লিষ্ট আলোচনা, মতামত ও বক্তব্য সংক্রান্ত কোনো ভূমিকায় কোনো পক্ষের অসন্তুষ্টি থেকে জেড আই খান পান্নার বিরুদ্ধে এ ধরনের মামলা দায়ের করা হতে পারে। একই সঙ্গে, মামলাটি হয়রানিমূলক বলেও প্রতীয়মান হয়। সেটাই হয়ে থাকলে তা অত্যন্ত অনাকাঙ্ক্ষিত, অপ্রত্যাশিত এবং নিন্দনীয়।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, 'মানবাধিকার কর্মী জেড আই খান পান্না জীবনভর মানুষের অধিকারের কথা বলেছেন এবং বলছেন। সাধারণ মানুষের মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় তিনি নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। কখনও তিনি ক্রসফায়ার, গুম, নির্যাতনের বিরুদ্ধে বলতে গিয়ে কোনো পক্ষের অসন্তুষ্টিতে পড়েছেন, আবার কখনো মত প্রকাশের স্বাধীনতা, ধর্মীয় জাতিগত সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর অধিকার নিয়ে কাজ করতে বিশেষ কোনো পক্ষের অসন্তুষ্টিতে পড়েছেন।
জেড আই খান পান্নার লড়াইটা প্রকৃত অর্থে বঞ্চিত জনগোষ্ঠীর জন্য। সাধারণ মানুষের ন্যায় বিচার প্রাপ্তি আর তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় এক অগ্রসৈনিক হিসাবেই তিনি দেশের মানুষের কাছে সমাদৃত। তিনি সব সরকারের আমলেই সোচ্চার ছিলেন এবং আছেন। তার সংগ্রাম এ দেশের মানুষের রাজনৈতিক ও নাগরিক অধিকার প্রতিষ্ঠার সুযোগ সৃষ্টি করে যাবে নিঃসন্দেহে।'
উল্লেখ্য, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ১৯ জুলাই আহাদুল ইসলাম নামে একজনকে গুলি ও মারধরের মাধ্যমে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে খিলগাঁও থানায় গত ১৭ অক্টোবর আসকের চেয়ারপারসন পান্নাসহ ১৮০ জনকে আসামি করে মামলাটি দায়ের করেন আহাদুলের বাবা মো. বাকের (৫২)।