চাল আমদানিতে বিদ্যমান ২৫ শতাংশ শুল্কও পুরোপুরি প্রত্যাহারের সুপারিশ
বিশ্ববাজারে চালের উচ্চমূল্যের কারণে আমদানি সহজ করতে চালের ওপর ২৫ শতাংশ আমদানি শুল্ক সম্পূর্ণভাবে তুলে নিতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) সুপারিশ করেছে ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সূত্র অনুযায়ী, আন্তর্জাতিক বাজারে চালের দাম বিশ্লেষণ করে মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) কমিশন এনবিআরকে এ সুপারিশসহ একটি চিঠি দিয়েছে।
দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড-এর দেখা ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, চালের ঘাটতি মোকাবিলায় সরকার ২০ অক্টোবর আমদানি শুল্ক ৬২ দশমিক ৫০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২৫ শতাংশ নির্ধারণ করেছে।
তবে শুল্ক কমানোর পরও থাইল্যান্ড ও ভারত থেকে আমদানি করা চালের খরচ এখনো বেশি। এ দুই দেশ থেকে আমদানি করলে স্থানীয় বাজারে প্রতি কেজি চালের দাম পড়বে যথাক্রমে ৯২–৯৫ টাকা ও ৭৫–৭৮ টাকা।
কমিশনের মতে, আমদানি বাড়ানোর জন্য এবং ব্যবসায়ীদের [আমদানিতে] উৎসাহিত করতে এ শুল্ক পুরোপুরি তুলে নেওয়া প্রয়োজন।
চিঠিতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, সাম্প্রতিক বন্যার কারণে দেশীয় চাল উৎপাদনে ব্যাঘাত ঘটেছে। এ অবস্থায় অভ্যন্তরীণ বাজারে চালের সরবরাহ বাড়াতে এবং দাম স্থিতিশীল রাখতে চালের আমদানি শুল্ক নির্দিষ্ট সময়ের জন্য পুরোপুরি প্রত্যাহার করা যেতে পারে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যের বরাত দিয়ে কমিশন জানিয়েছে, ১৬ আগস্ট থেকে ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত অতিরিক্ত বৃষ্টিপাত ও উজানের ঢলে আট লাখ ৩৯ হাজার মেট্রিক টন ধানের উৎপাদন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর ফলে গত বছরের অভ্যন্তরীণ বাজারে চালের মূল্য বেড়েছে।
গত বছরের একই সময়ের তুলনায় এ বছর বাজারে সরু চালের দাম ৯ দশমিক শূন্য ৯ শতাংশ, মাঝারি মানের সরু চালের দাম ৯ দশমিক ৩৫ শতাংশ এবং মোটা চালের দাম ৭ শতাংশ বেড়েছে।
রয়টার্স-এর তথ্য অনুসারে, গত এক মাসে আন্তর্জাতিক বাজারে থাইল্যান্ডের চালের দাম ৩.৭১–৪.১৫ শতাংশ কমলেও এ চাল প্রতি মেট্রিক টন এখনো ৫৪৫–৫৫৪ ডলারে বিক্রি হচ্ছে। এদিকে ভারতীয় চাল কিছুটা সস্তা হলেও প্রতি মেট্রিক টন ৪৫০–৪৭০ ডলারে (এফওবি মূল্য) বিক্রি হচ্ছে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, উচ্চমূল্যের কারণে ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে চাল আমদানি করা হলে এর দাম স্থানীয় বাজারের চেয়ে বেশি পড়বে।