আদানির সাথে অত্যন্ত অন্যায়, অসম চুক্তি করে গেছে হাসিনা: রিজভী
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ভারতের আদানি পাওয়ারের সাথে অত্যন্ত অসম চুক্তি ও অন্যায় চুক্তি করে গেছেন শেখ হাসিনা। একইসঙ্গে ভারতের সঙ্গে করা হাসিনা আমলের চুক্তিগুলো প্রকাশ করতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
আজ বুধবার (১৩ নভেম্বর) রাজধানীর বনানীতে 'আমরা বিএনপি পরিবার' জুলাই গণআন্দোলনে চোখ হারানো এবং নিম্নবিত্ত মানুষের জন্য চক্ষু সেবা ক্যাম্পের উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সংগঠনের প্রধান পৃষ্ঠপোষক তারেক রহমানের নির্দেশনায় এই ক্যাম্প করা হচ্ছে।
রিজভী বলেন, 'আদানি বলে ভারতের একটা কোম্পানি তার সাথে বিদ্যুতের চুক্তি করেছে অত্যন্ত অসম চুক্তি, অত্যন্ত অন্যায় চুক্তি। এক ইউনিট বিদ্যুৎ উৎপাদনের খরচ বাংলাদেশে কম, কিন্তু আদানির কাছ থেকে কেনার বেলায় এক ইউনিটের দাম ১২ টাকা। পৃথিবীর কোথাও এত দাম দিয়ে বিদ্যুৎ কেনা হয় না। তিনি আদানির সাথে চুক্তি করেছিলেন একটা অসৎ উদ্দেশ্য নিয়ে; তাকে যদি কখনো পালাতে হয় তাহলে আদানি তাকে অর্থায়ন করবে। জনগণের কল্যাণের জন্য শেখ হাসিনা আদানির সাথে কোন চুক্তি করেননি। নাহলে আদানি কেন হুমকি দিবে?
বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, শেখ হাসিনা শুধুমাত্র নিজের ক্ষমতাকে ধরে রাখার জন্য- বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব তিনি জিম্মি করে দিয়েছিলেন পার্শ্ববর্তী দেশের কাছে। এখন জনগণের একটাই দাবি, শেখ হাসিনা ২০০৯ সাল থেকে ২০২৪ এর ৫ আগস্ট পর্যন্ত যত চুক্তি করেছে, সেই চুক্তিগুলো অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রকাশ করুক। তিনি দেশের কত বড় ক্ষতি করে গেছেন– তার প্রমাণ তো আমরা দেখতে পাই।
রিজভী বলেন, 'শেখ হাসিনা আপনার মত একজন রক্তপিপাসু নরঘাতক একনায়কের আর এই দেশে ক্ষমতা পুনরুদ্ধারের কোনও সুযোগ নেই। আপনি শিশুদের রক্ত পান করা একজন রক্তপিপাসু নারী। আপনি যে পাপ করেছেন, যে হত্যালীলা চালিয়েছেন – এর জন্য হয় আল্লাহর কাছে মাফ চান, নাহলে শয়তানের মত চিরদিনের জন্য অভিশপ্ত হয়ে থাকবেন।'
রিজভী বলেন, 'শেখ হাসিনার কোন দেশপ্রেম ছিল না। তার ছিল ভারতপ্রেম। ওই একটা-ই প্রেম ছিল শেখ হাসিনার। কারণ তার পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছিলেন, বাংলাদেশ ভারতের সম্পর্ক স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক, সুতরাং তার প্রেম কার সাথে ছিল— এইটা জনগণ জানতো এবং বুঝতো।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম, কোষাধক্ষ্য রশিদুজ্জামান মিল্লাত, সাংবাদিক মাসুদ কামাল, বিএনপির সহ-বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি-বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আশরাফ উদ্দিন বকুল, আমরা বিএনপি পরিবারের আহ্বায়ক সাংবাদিক আতিকুর রহমান রুমন, সদস্য সচিব মোকছেদুল মোমিন মিথুন প্রমুখ।