আন্তর্জাতিক ভূরাজনৈতিক সম্মেলন কাল, উদ্বোধনী ভাষণ দেবেন ড. ইউনুস
সেন্টার ফর গভর্নেন্স স্টাডিজের (সিজিএস) আয়োজনে ঢাকায় আগামীকাল শনিবার (১৬ নভেম্বর) থেকে শুরু হচ্ছে আন্তর্জাতিক ভূরাজনৈতিক সম্মেলন 'বে অব বেঙ্গল কনভারসেশন (বিওবিসি) ২০২৪'র তৃতীয় আসর।
এতে উদ্বোধনী বক্তা হিসেবে উপস্থিত থাকবেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আজ শুক্রবার ঢাকায় এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন সিজিএসের নির্বাহী পরিচালক জিল্লুর রহমান।
তিনি বলেন, 'বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে উদ্বোধনী বক্তা হিসেবে পেয়ে আমরা সম্মানিত বোধ করছি।'
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ৮০ টিরও বেশি দেশ থেকে ২০০ জনের বেশি আলোচক, ৩০০ জন প্রতিনিধি এবং ৮০০ জন সম্মেলনে অংশ নেবেন। রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে তিন দিনব্যাপী এ সম্মেলন চলবে ১৮ নভেম্বর পর্যন্ত। বিওবিসির তৃতীয় সংস্করণের থিম নির্ধারণ করা হয়েছে 'এ ফ্র্যাকচারড ওয়ার্ল্ড'।
তিনি বলেন, ভূ-রাজনীতি বিষয়ক এ সম্মেলন ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের দেশগুলোর মধ্যে ট্র্যাক–২ ডিপ্লোম্যাসিকে সহজতর করার একটি প্ল্যাটফর্ম।
ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে শান্তি, স্থিতিশীলতা ও সমৃদ্ধির জন্য হুমকি হিসেবে বিবেচিত হয়, এমন সমস্যাগুলো চিহ্নিত করার ওপর গুরুত্বারোপ করা হবে এ সম্মেলনে।
জিল্লুর রহমান বলেন, সেন্টার ফর গভর্নেন্স স্টাডিজ গত দুই বছর ধরে বার্ষিক বে অব বেঙ্গল কনভারসেশনের আয়োজন করে আসছে। বিগত বছরগুলোতে এ সম্মেলন আয়োজন করতে সরকারের পক্ষ থেকে নানা বাধা দেওয়া হয়েছিল। তবে এ বছর আমরা অনেক সহযোগিতা পাচ্ছি। এটি আমাদের তৃতীয় বছর এবং আমাদের সবচেয়ে বড় আয়োজন করতে যাচ্ছি।
তিনি আরও বলেন, সাম্প্রতিক ঘটনাবলী আমাদের জন্য সংলাপ ও সহযোগিতার জন্য নতুন পথ উন্মুক্ত করাসহ, গণতান্ত্রিক নীতি নতুনভাবে সংজ্ঞায়িত করার বড় ধরনের সুযোগ তৈরি করেছে। এই সম্মেলনে গণতন্ত্র, মানবাধিকার, জলবায়ু পরিবর্তন থেকে শুরু করে অর্থনৈতিক উন্নয়ন, নিরাপত্তা, প্রযুক্তিগত পরিবর্তন, সীমান্ত পেরিয়ে সব চ্যালেঞ্জগুলো অন্বেষণ করা হবে।
এ অঞ্চলের দেশগুলোর কুটনৈতিক সম্পর্ক উন্নয়নে ও শান্তি প্রতিষ্ঠায় এ সম্মেলন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে উল্লেখ করে জিল্লুর রহমান বলেন, এ সম্মেলনের মাধ্যমে নতুন বাংলাদেশ পুনর্গঠনে কুটনৈতিকভাবে লাভবান হবে। রাজনৈতিক, মানবাধিকার, অপতথ্য, গুজবসহ সব বিষয় নিয়ে আমরা কথা বলতে চাই।
সিজিএস এর চেয়ার মুনিরা খান বলেন, এ সম্মেলন থেকে আমরা গণতন্ত্র, শান্তি ও মানবাধিকারসহ বৈশ্বিক বিষয়ে জানতে চাই, কথা বলতে চাই। এই সম্মেলনের এজেন্ডা জনগণের জন্য, কোনো রাজনৈতিক দলের নয়। সব ধরনের সমস্যা ও তার ভবিষ্যৎ নিয়ে কথা বলতে চাই। পৃথিবীব্যাপী জনগণ, গণতন্ত্র, মানবাধিকার, নির্বাচন, দারিদ্র্য নিয়ে কথা বলার জন্যই আমাদের এই সম্মেলন।