গ্রেনেড হামলা মামলার জবানবন্দিতে শেখ হাসিনা তারেকের নাম উল্লেখ করেননি: বিএনপির আইজীবীরা
বিএনপির আইনজীবীরা বলেছেন, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার ঘটনায় অন্যতম ভুক্তভোগী শেখ হাসিনা এই মামলায় দেওয়া তার জবানন্দির কোথাও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নাম উল্লেখ করেননি।
আজ রোববার (১ ডিসেম্বর) এ মামলায় হাইকোর্টের রায়ের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বিএনপির আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেন, 'তারেক রহমান ও বিএনপির বিরুদ্ধে রাজনৈতিকভাবে মামলাটি পরিচালিত হয়েছে।'
তিনি বলেন, 'যখন শেখ হাসিনা ওয়াজেদ ১৬১ ধারায় জবানবন্দি দেন, সেখানে তারেক রহমানের নাম ছিল না। পরে ক্ষমতায় এসে রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে সাধন করার জন্য তারেক রহমানকে এ মামলায় সম্পৃক্ত করা হয়েছে। সব কিছু কনসিডার করে এ মামলার কোনো এভিডেন্স নেই।'
তিনি আরও বলেন, 'দ্বিতীয়বার মুফতি হান্নান ১৬৪ যে জবানবন্দি দিয়েছিলেন, তার কোনো সাক্ষ্যমূল্য নেই। কোনো সাক্ষী তারেক রহমানের নাম বলেননি। সব বিবেচনা করে তারেক রহমানসহ সবাইকে খালাস দিয়েছেন আদালত।'
রায়ে মামলায় বিচারিক আদালতে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর এবং যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ সব আসামিকে খালাস দিয়েছেন হাইকোর্ট। বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।
রায়ের সময় হাইকোর্টে উপস্থিত ছিলেন ভাইস চেয়ারম্যান ও জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন, বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন।
জাতীযতাবাদী আইনজীবী ফোরামের সভাপতি জয়নুল আবেদীন বলেন, 'চার্জশিটে তারেক রহমানের নাম কোথাও ছিল না। পরে আব্দুল কাহহার আকন্দকে (সর্বশেষ তদন্ত কর্মকর্তা) দিয়ে তারেক রহমানকে এ মামলায় সম্পৃক্ত করে সাজা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়।'
তিনি আরও বলেন, 'সরাসরি সাক্ষ্য না থাকলে কাউকে মৃত্যুদণ্ড বা যাবজ্জীবন সাজা দেওয়া যায় না। সেসব দিক বিচার-বিশ্লেষণ করে আদালত মনে করেছেন, এ মামলায় যারা আপিল করেছেন এবং যারা আপিল করতে পারেননি, প্রত্যেককে খালাস দেওয়া প্রয়োজন।'
জয়নুল আবেদীন বলেন, 'সারা বছর আওয়ামী লীগ এটাকে ব্যবহার করেছে। রাজনৈতিক উদ্দেশ্যেপ্রণোদিতভাবে তারা চেয়েছিল তারেক রহমানকে এ মামলা দিয়ে চিরজীবন বাইরে রাখবে। এমনকি তাকে মৃত্যুদণ্ডও দিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু আদালত কোনো এভিডেন্স পাননি যে তারেক রহমানকে মৃত্যুদণ্ড দেবেন।'