সমুদ্রে তেল-গ্যাস অনুসন্ধানে ৯ মাসের সময়সীমা পেরোলেও দরপত্র দেয়নি কোনো বিদেশি কোম্পানি
বাংলাদেশের সমুদ্রসীমায় ব্লকগুলোতে তেল-গ্যাস অনুসন্ধানের দরপত্র জমা দেওয়ার সময় শেষ হয়েছে আজ সোমবার বেলা একটায়। কিন্তু, ৯ মাসের সময়সীমা পেরোলেও – কোনো আন্তর্জাতিক তেল কোম্পানি (আইওসি) দরপত্র জমা দেয়নি।
বাংলাদেশ তেল, গ্যাস, খনিজ সম্পদ করপোরেশনের (পেট্রোবাংলা) একজন সিনিয়র কর্মকর্তা বলেছেন, কোনো দরপত্র জমা না পড়ার ঘটনাটি আমাদের বিস্মিত করেছে।
এবিষয়ে পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান জনেন্দ্র নাথ সরকার ধারণা করছেন, বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দামে নিম্নমুখী প্রবণতার কারণে বিদেশি কোম্পানিগুলো দরপত্র দিতে নিরুৎসাহিত হতে পারে।
তবে পেট্রোবাংলার কিছু কর্মকর্তা মনে করেন, অন্তর্বর্তী সরকার ও দেশের চলমান রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার পরিস্থিতিকে বিবেচনায় নিতে পারে বিদেশি কোম্পানি। একারণে হয়তো তারা বিনিয়োগের আগ্রহ দেখায়নি। তাছাড়া, বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম কমে যাওয়ায় চুক্তি অনুসারে গ্যাসের দাম কমবে। এটিও অন্যতম কারণ হতে পারে।
পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান জানান, মোট সাতটি বিদেশি তেল কোম্পানি দরপত্র কিনেছিল, আর সমুদ্রে বহুমাত্রিক জরিপের তথ্য কিনেছিল নয়টি কোম্পানি।
এসব কোম্পানিগুলো হলো – মার্কিন কোম্পানি এক্সনমবিল ও শেভরন, মালয়েশিয়ার পেট্রোনাস, নরওয়ে ও ফ্রান্সের যৌথ কোম্পানি টিজিএস অ্যান্ড স্লামবার্জার, জাপানের ইনপেক্স করপোরেশন ও জোগম্যাক, চীনের সিনুক, ইতালির এসপিএ, সিঙ্গাপুরের ক্রিস এনার্জি এবং ভারতের ওএনজিসি।
চলতি বছরের ১০ মার্চ বঙ্গোপসারে দেশের সমুদ্রসীমায় তেল-গ্যাস অনুসন্ধানে উন্মুক্ত দরপত্র আহ্বান করে পেট্রোবাংলা, সেপ্টেম্বরে সময় শেষ হওয়ার আগেই নতুন করে তিন মাস বাড়িয়ে ৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় দেয় অন্তর্বর্তী সরকার।