প্রকৃত তথ্য প্রকাশের ফলে মুদ্রাস্ফীতি বেশি দেখাচ্ছে: প্রেস সচিব
প্রকৃত তথ্য প্রকাশের ফলে বর্তমানে মুদ্রাস্ফীতি বেশি দেখাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
তিনি বলেছেন, অতীতের আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে অর্থনীতির বিভিন্ন তথ্য বিকৃত করা হতো এবং যার ফলে প্রকৃত মুদ্রাস্ফীতি কম দেখানো হতো। তবে এই বছরের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সময়ে সঠিক ও প্রকৃত তথ্য প্রকাশ করা হচ্ছে, এবং তার ফলস্বরূপ বর্তমানে মুদ্রাস্ফীতি ১৩ শতাংশে পৌঁছেছে।
আজ রোববার (১৫ ডিসেম্বর) রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে, রিসার্চ অ্যান্ড পলিসি ইন্টিগ্রেশন ফর ডেভেলপমেন্ট (র্যাপিড) আয়োজিত এক কর্মশালা অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
প্রেস সচিব বলেন, 'এখন যখন সঠিক তথ্য দেখানো হচ্ছে, তখন সমালোচনা আসছে যে আমরা মুদ্রাস্ফীতি কমাতে পারছি না। আমরা পরিষ্কারভাবে জানাতে চাই, কোনো তথ্য বিকৃতি করা হবে না, যা আছে, সেটাই প্রকাশ করা হবে।'
র্যাপিড-এর চেয়ারম্যান ড. এম এ রাজ্জাক বলেন, 'গত বছরের এই সময়ে মুদ্রাস্ফীতি অনেক কম দেখানো হয়েছিল, আর যদি গত বছরের সাথে তুলনা করা হয়, তবে এবার মুদ্রাস্ফীতি বেশি দেখা যাচ্ছে।'
এলডিসি গ্রাজুয়েশন নিয়ে সরকার এখনও কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি বলে জানান শফিকুল আলম।
তিনি বলেন, 'এলডিসি গ্রাজুয়েশন হলে আমাদের লাভ বা লোকসান কী হবে, সেটা বিশ্লেষণ করা হচ্ছে। আমরা যে সিদ্ধান্তে পৌঁছাবো, তা আমাদের জন্য সবচেয়ে সুবিধাজনক হবে। তবে জাতিসংঘের অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিষদের কাছে গ্রাজুয়েশন পেছানোর অনুরোধ করা হবে কিনা তা নিয়ে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। আমরা তথ্য সংগ্রহ করছি।'
'বর্তমান মাক্রো অর্থনৈতিক পরিস্থিতি এবং এলডিসি গ্রাজুয়েশনের প্রস্তুতি' শীর্ষক ওই কর্মশালায় আরও উপস্থিত ছিলেন র্যাপিড-এর নির্বাহী পরিচালক ড. এম আবু ইউসুফ এবং গবেষণা পরিচালক ড. মো. দিন ইসলাম।