বাংলাদেশে সরবরাহ কমেছে, শ্রীলঙ্কায় বিদ্যুৎ বিক্রি করতে চায় আদানি
বকেয়া টাকা না পরিশোধ করায় বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ কমিয়ে দিয়েছে ভারতের আদানি পাওয়ার। সংস্থাটি আগে বাংলাদেশে যে পরিমাণ বিদ্যুৎ পাঠাতো, বর্তমানে এর মাত্র মাত্র ৪০ শতাংশ বিদ্যুৎ পাঠাচ্ছে।
সাধারণত ঝাড়খণ্ডের গোড্ডা প্ল্যান্ট থেকে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ পাঠায় আদানি পাওয়ার। এই অবস্থায় প্রতিবেশী দেশ যেমন শ্রীলঙ্কার কাছে বিদ্যুৎ বিক্রি করতে চাইছে সংস্থাটি।
জানা যাচ্ছে, গোড্ডা প্ল্যান্ট থেকে শ্রীলঙ্কার কাছে বিদ্যুৎ বিক্রি করতে গেলে বাংলাদেশের সম্মতি নিতে হবে।
বাংলাদেশে রাজনৈতিক পালাবদলের কারণে বর্তমানে চাপের মুখে রয়েছে প্রকল্পটি। তবে এই ধরনের প্রকল্প টিকিয়ে রাখাতে সম্প্রতি দেশীয় বাজারে বিদ্যুৎ বিক্রির অনুমতি দিয়েছে ভারত সরকার।
তবে এরজন্য আদানিকে নতুন ট্রান্সমিশন নেটওয়ার্ক তৈরি করতে হবে। কারণ বর্তমানে নেটওয়ার্ক শুধু বাংলাদেশে রপ্তানির জন্য।
যদিও শ্রীলঙ্কার কাছে বিদ্যুৎ বিক্রি করার ক্ষেত্রে ভারতের পক্ষ থেকে কোনো বাধা না থাকলেও, বাংলাদেশ থেকে বাধা আসতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ এর জন্য বাংলাদেশের অনুমোদন প্রয়োজন।
এবিষয়ে বাংলাদেশের বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাউজুল কবির খান বলেছেন, 'আদানির যে প্রকল্পটি বাংলাদেশের জন্য ছিল সেটি এখন শ্রীলঙ্কার কাছে বিক্রি করতে চাইছে। আমি বিশ্বাস করি এরজন্য বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট অথরিটির কাছে সম্মতি নিতে হবে।'
প্রসঙ্গত, বিদ্যুৎ বিক্রি বাবদ বাংলাদেশে কয়েক মিলিয়ন ডলার বকেয়া রয়েছে। যদিও সঠিক পরিমাণ কতটা তা নিয়ে দু-পক্ষের মধ্যে বিরোধী রয়েছে।। বকেয়া না মেটানোর পরেই বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ উল্লেখযোগ্যভাবে কমিয়ে দিয়েছে আদানি পাওয়ার। আদানি গোষ্ঠী সূত্রে জানা যাচ্ছে, প্ল্যান্ট থেকে উৎপাদিত বিদ্যুৎ দেশীয় বাজারের পাশাপাশি শ্রীলঙ্কার মতো প্রতিবেশী দেশগুলিতে বিক্রি করতে চাইছে তারা।
ভারতীয় বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, প্রকল্পটি থেকে শ্রীলঙ্কার কাছে বিদ্যুৎ বিক্রি করা ভারতীয় নিয়মে কোনো সমস্যা হবে না।
প্রসঙ্গত, ১,৬০০ মেগাওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন গোড্ডা প্ল্যান্টটি ২০২৩ সালের জুন মাসে চালু করা হয়েছিল।
এদিকে, বাংলাদেশে আদানি প্রকল্পটি যাচাই-বাছাই চলছে। হাইকোর্ট ১১টি প্রকল্পের তদন্ত করতে বলেছে। যার মধ্যে আদানি পাওয়ারও রয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকারকে এই উদ্দেশ্যে আন্তর্জাতিক আইন সংস্থা নিয়োগের জন্য বলেছে হাইকোর্ট।