সুপ্রিম কোর্টের বিচারক নিয়োগ কমিশনে আইনজীবী অন্তর্ভুক্তি প্রস্তাবের প্রতিবাদ
সুপ্রিম কোর্টের বিচারক নিয়োগের জন্য 'সুপ্রিম কোর্টের বিচারক নিয়োগ কমিশন' নামে যে কমিশন গঠনের সুপারিশ করা হয়েছে, তাতে বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও আইনজীবী সদস্য অন্তর্ভুক্তির প্রস্তাবের প্রতিবাদ জানিয়েছে জুডিসিয়াল সার্ভিস কমিশন। তাছাড়া এ প্রস্তাব কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয় বলেও মনে করেন তারা।
আজ সোমবার অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব মুহাম্মদ মাজহারুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ প্রতিবাদ জানানো হয়।
এতে বলা হয়, হাইকোর্টের বিচারক নিয়োগ কমিশনে তাদের অন্তর্ভুক্তি কমিশন গঠনের মূল উদ্দেশ্যের পরিপন্থী বলে মনে করে অ্যাসোসিয়েশন। বিচারক নিয়োগে সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতিকে সদস্য হিসেবে রাখলে তাতে স্বার্থের সংঘাত সৃষ্টি হবে এবং নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অনৈতিক বা রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের সুযোগ সৃষ্টি হবে বলে অ্যাসোসিয়েশন আশঙ্কা প্রকাশ করছে।
আরও বলা হয়, যেখানে বিচারক নিয়োগ কমিশনে প্রধান বিচারপতিসহ সুপ্রিম কোর্টের অন্যান্য বিচারকরা থাকছেন, সেখানে আইনজীবী প্রতিনিধিকে রাখার যৌক্তিকতা নেই বলে মনে করে অ্যাসোসিয়েশন।
বিবৃতিতে বলা হয়, সুপ্রিম কোর্ট বারের রাজনৈতিক সম্পৃক্ততার উদাহরণ অতীতে অনেক আছে এবং ভবিষ্যতেও এ সম্ভাবনা নাকচ করার সুযোগ নেই। ভবিষ্যতে বিচারক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় নির্বাহী কিংবা রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের সুযোগ আর যাতে না থাকে, তা নিশ্চিত করা জরুরি। অন্যথায় তা জুলাই-আগস্ট বিপ্লবের চেতনার পরিপন্থী হবে।
কমিশন গঠন সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন একটি অধ্যাদেশের খসড়া ইতোমধ্যে আইন ও বিচার বিভাগে পাঠিয়েছে, যা জেলা আদালতের বিচারকদের মধ্যে অসন্তোষ সৃষ্টি করেছে। জেলা আদালতের বিচারকদের আশঙ্কা, এ প্রস্তাবের ফলে আগের মতো তারা উচ্চ আদালতে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় বৈষম্যের শিকার হবেন।
উচ্চ আদালতে বিচারক নিয়োগের ক্ষেত্রে জেলা আদালতের বিচারকদের প্রতি বৈষম্য রোধে বাংলাদেশ জুডিসিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন জেলা আদালত থেকে কমপক্ষে ৭০ শতাংশ বিচারক নিয়োগের জন্য সুস্পষ্ট বিধান প্রণয়নের দাবি জানিয়েছে।
পাশাপাশি বিচারক নিয়োগে বয়স ও অভিজ্ঞতার ক্ষেত্রে উপযুক্ত নীতিমালা প্রণয়নের দাবিও জানানো হয়েছে।