স্বাস্থ্য পরীক্ষার সব রিপোর্টের ভিত্তিতে খালেদার লিভার প্রতিস্থাপনের সিদ্ধান্ত: ডা. জাহিদ
বিএনপি'র চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার লিভার প্রতিস্থাপনের বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানিয়েছেন তাঁর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও দলের জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন।
মঙ্গলবার লন্ডনের স্থানীয় সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে সেখানকার স্থানীয় সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে এ কথা জানান তিনি। যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি এম এ মালেকসহ সেদেশের বিএনপি নেতারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
সেন্ট্রাল লল্ডনের 'দ্য লন্ডন ক্লিনিকে'র সামনে ব্রিফিংকালে তিনি বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার 'লিভার প্রতিস্থাপন' করার বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি। "ম্যাডামের (খালেদা জিয়া) স্বাস্থ্যগত সব পরীক্ষার প্রতিবেদন আসার পরই 'লিভার প্রতিস্থাপনের' সিদ্ধান্ত নেবে মেডিকেল বোর্ড। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপার্সনের শারীরিক ঝুঁকির বিষয়টি বিবেচনা করেই এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।"
ডা. জাহিদ বলেন, "আমাদের মনে রাখতে হবে তাঁর বয়স এখন ৭৯ বছর। এ কারণে আদৌ 'লিভার প্রতিস্থাপন' করার মতো শারীরিক অবস্থায় তিনি (ম্যাডাম জিয়া) আছেন কি-না, বা কীভাবে করলে ম্যাডাম আরও ভালো থাকতে পারবেন— এসব বিষয় বিবেচনা করতে হবে। তবে সেগুলো বিচার-বিশ্লেষণের সময় এখনো আসেনি।"
বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় অতি দ্রুত যেসব পরিবর্তন আনা দরকার— সেগুলোই চিকিৎসকরা বিবেচনায় নিচ্ছেন বলেও উল্লেখ করেন ডা. জাহিদ হোসেন।
তিনি বলেন, "চেয়ারপার্সনের পরবর্তী চিকিৎসা এখন কতটুকু প্রয়োজন সে বিষয়েই আলোচনা হচ্ছে। তার লিভার ডিজিজ এবং হার্টের যে সমস্যা রয়েছে সেগুলোর রিপোর্ট এখনো কমপ্লিট হয়নি।"
ডা. জাহিদ আরও বলেন, 'দ্য লন্ডন ক্লিনিকে' ভর্তি হওয়ার পরে বেগম খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যগত বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হচ্ছে। তার লিভার, কিডনি, হার্টের জটিলতা রয়েছে। প্রত্যেকটি 'এ্যাড্রেস' করার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। কাজেই সব মিলিয়ে আগামী কয়েকদিন আরো বেশকিছু পরীক্ষা-নিরিক্ষা করবেন এখানকার চিকিৎসকরা।
তিনি বলেন, 'দ্য লন্ডন ক্লিনিকে'র' লিভার বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক জন প্যাট্রিক কেনেডির নেতৃত্বে ৬ থেকে ৭ জনের একটি মেডিকেল টিম বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় নিয়োজিত রয়েছেন। তারা আমাদের মেডিকেল বোর্ডের সঙ্গে তাদের ডিসিশন, অবজারভেশন শেয়ার করে যে ধরণের বেটার চিকিৎসা দেয়া প্রয়োজন সেটাই দিচ্ছেন।"