শেখ হাসিনাকে ফেরত না পাঠালে তা হবে ভারতের প্রত্যর্পণ চুক্তির সুস্পষ্ট লঙ্ঘন: আইন উপদেষ্টা
প্রত্যর্পণ চুক্তি থাকার পরেও ভারত শেখ হাসিনাকে ফেরত না দিলে তা চুক্তির লঙ্ঘন হবে বলে জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা আসিফ নজরুল।
সমসাময়িক বিষয় নিয়ে আজ মঙ্গলবার সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
আসিফ নজরুল বলেন, আমরা প্রত্যর্পণের জন্য চিঠি লিখেছি। এরপর ভারত যদি শেখ হাসিনাকে প্রত্যর্পণ না করে, তবে এটা বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের যে প্রত্যর্পণ চুক্তি রয়েছে, সেটার সুস্পষ্ট লঙ্ঘন হবে। সেই ব্যাপারে আমরা বিশ্ব সমাজে পদক্ষেপ নেব। সেটা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ঠিক করা হবে।
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে এর মধ্যে ইন্টারপোলের মাধ্যমে রেড অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, আমাদের যা যা করণীয় আছে, আমরা করে যাচ্ছি। আরও কিছু করণীয় থাকলে ক্ষেত্র বিশেষে চিন্তা করে আমরা করব।
মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিচার শুরু হয়েছে। প্রত্যর্পণ চুক্তি অনুযায়ী শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠাতে চিঠি দিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
এদিকে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে সাইবার নিরাপত্তা আইনে হওয়া সব মামলা প্রত্যাহার করা হবে বলে জানান আইন উপদেষ্টা।
তিনি বলেন, বিগত সরকারের সময়ে বাকস্বাধীনতাকে কেন্দ্র করে ৩৩২টি মামলা হয়েছিল, যা বিচারাধীন। এসব মামলার মধ্যে ১১৩টি মামলা আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে প্রত্যাহার করা হবে। বাকিগুলো পর্যায়ক্রমে প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
তিনি আরও বলেন, দেশের ২৫ জেলায় আড়াই হাজার রাজনৈতিক হয়রানিমূলক বা গায়েবি মামলা চিহ্নিত করা হয়েছে। এসব মামলায় লাখ লাখ মানুষ আসামি। আগামী ফেব্রুয়ারির মধ্যে এসব মামলা প্রত্যাহার করা হবে।
আসিফ নজরুল জানান, যেসব মামলার বাদী পুলিশ, বিস্ফোরক ও অস্ত্র আইনে করা মামলা, পুলিশকে দায়িত্ব পালনে বাধা, বিশেষ আইনে করা মামলা, যেসব মামলায় প্রচুর আসামি আছে এবং বিএনপির মতো বড় দলগুলোর সমাবেশের আগে ও পরে মামলা করা হয়েছে, এমন মামলাগুলো গায়েবি মামলা হিসেবে চিহ্নিত করা হচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে সুপ্রিম কোর্টের বিচারক নিয়োগ অধ্যাদেশ, আইন মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন প্রক্রিয়া, শেখ হাসিনাকে ভারতের ফেরত দেওয়াসহ বিভিন্ন সমসাময়িক বিষয় নিয়ে কথা বলেন তিনি।