ভাঙচুর-আগুন: গাজীপুরে বেক্সিমকো কারখানা এলাকায় যৌথ বাহিনী মোতায়েন
গাজীপুরে বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক ও গ্রামীণ ফেব্রিক্স এলাকায় ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় যৌথ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ওই এলাকার পরিবেশ ছিল শান্ত। এই সময়ে সেখানে আন্দোলনকারীদের দেখা যায়নি।
গাজীপুর শিল্প পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার মো. আবু তালেব আজ সকাল ১০টার দিকে জানান, এখন পর্যন্ত বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক এবং এর আশপাশের এলাকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
তিনি বলেন, 'নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং শৃঙ্খলা বজায় রাখতে শিল্প পুলিশ এবং আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর সদস্যসহ যৌথ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।'
গাজীপুরের জিরানি বাজার, চক্রবর্তী ও সারাব এলাকার গ্রামীণ ফেব্রিকস কারখানার সামনে সেনাবাহিনী, শিল্প পুলিশ ও থানা-পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা এসব এলাকায় টহল দিচ্ছেন।
এদিকে গতকাল বুধবার আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত গ্রামীণ ফেব্রিকস কারখানায় সাময়িকভাবে ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।
বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের ১৬টি বন্ধ কারখানা খুলে দেওয়ার দাবিতে বেক্সিমকোর একদল কর্মচারী ও শ্রমিক গতকাল বুধবার (২২ জানুয়ারি) বিকেলে গাজীপুর মহানগরীর কাশিমপুর এলাকায় চন্দ্রা-নবীনগর মহাসড়কে বিক্ষোভ শুরু করেন। একপর্যায়ে শ্রমিকেরা গ্রামীণ ফেব্রিকস অ্যান্ড ফ্যাশনস লিমিটেড-এর ফটক ভেঙে ভেতরে ঢুকে আগুন ধরিয়ে দেন।
গাজীপুর মহানগর পুলিশের একটি সূত্র জানায়, শ্রমিকেরা বাস, ট্রাক, কাভার্ড ভ্যানসহ চার-পাঁচটি যানবাহনে আগুন দিয়েছেন। এ সময় তারা ১৫–২০টি যানবাহনের জানালার কাঁচ ভাঙচুর করেন।
বেক্সিমকো কারখানার কর্মকর্তা ও শ্রমিকদের লিডার মো সুমন মিয়া একটি গণমাধ্যমকে বলেন, 'গত মঙ্গলবার আমরা শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশ করেছি। সেখানে ঢাকা থেকে শ্রমিকনেতা মিশু আপা আসেন এবং তিনি ঘোষণা দেন, ২২ তারিখ একটি সিদ্ধান্ত জানানো হবে। কিন্তু তিনি কোনো সিদ্ধান্ত জানাননি। এর কারণে গতকাল আবার সেখানে শ্রমিকেরা যার যার মতো করে সমাবেশে যোগ দেন এবং উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। বহিরাগত কোনো পক্ষের উসকানিতে সড়ক অবরোধ, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। আমরাও তাদের রোষানল থেকে কোনোরকমে বেঁচে ফিরেছি।'
এদিকে গতকালের ঘটনায় অন্য কোনো পক্ষের উসকানি থাকতে পারে বলে দাবি করেছেন বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের শ্রমিক ও টিম লিডাররা।