কুমিল্লায় বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ, স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা নিহত
কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বিএনপির দুইপক্ষের সংঘর্ষে জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের এক নেতা নিহত হয়েছেন।
শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে উপজেলার বাঙ্গড্ডা বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত সেলিম উদ্দিন ভূঁইয়া উপজেলার হেসাখাল ইউনিয়নের দায়েমছাতী গ্রামের আব্দুল খালেকের ছেলে। তিনি হেসাখাল ইউনিয়ন জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক।
জানা যায়, বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মোবাশ্বের আলম ভূঁইয়া সমর্থিত উপজেলার বাঙ্গড্ডা ইউনিয়ন যুবদলের কর্মী সম্মেলন শনিবার বিকাল ৩টায় বাঙ্গড্ডা বাদশা মিয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য মোবাশ্বের আলম ভূঁইয়া।
অপর দিকে, সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুল গফুর ভূঁইয়া নেতা-কর্মীদের নিয়ে উপজেলার রায়কোট দক্ষিণ ইউনিয়নের বাসন্ডা গ্রামে একটি সামাজিক অনুষ্ঠানে যোগদান শেষে পূর্ব নির্ধারিত একটি প্রোগ্রামে পেরিয়া ইউনিয়নের কাকৈরতলার উদ্দেশে রওনা করেন।
আব্দুল গফুর ভূঁইয়ার গাড়ি বহর বাঙ্গড্ডা পশ্চিম বাজার পার হওয়ার সময় মোবাশ্বের আলম ভূঁইয়া সমর্থিত নেতা-কর্মীরা পেছন থেকে হামলা চালায় বলে দাবি করেন আব্দুল গফুর ভূঁইয়ার নেতা-কর্মীরা। হামলায় পাঁচজন আহত হয়। তাদের পরিচয় জানা যায়নি।
তাদের মধ্যে গুরুতর আহত সেলিম উদ্দিন ভূঁইয়াকে নাঙ্গলকোট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুল গফুর ভূঁইয়া বলেন, 'আমি এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। অবিলম্বে সেলিম উদ্দিন ভূঁইয়ার হত্যাকারীদের আইনের আওতায় এনে বিচারের দাবি জানাই।'
কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য মোবাশ্বের আলম ভূঁইয়া বলেন, 'এ ধরনের কোনো ঘটনা আমি জানি না। আমার একটি প্রোগ্রাম ছিল। শান্তিপূর্ণভাবে আমি সে প্রোগ্রাম শেষ করে এসেছি। আমার প্রোগ্রামে কোনো বিশৃঙ্খলা ঘটেনি।'
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন নাঙ্গলকোট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে ফজলুল হক।
ওসি বলেন, 'সেলিম উদ্দিন ভূঁইয়া নামে একজন মৃত্যু বরণ করেছে শুনেছি। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'