জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে হলের নাম পরিবর্তন, শেখ পরিবারের ম্যুরাল ও স্মৃতিচিহ্ন মুছে দিল শিক্ষার্থীরা
![](https://947631.windlasstrade-hk.tech/bangla/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2025/02/06/tulnaamuulk_saahity_o_snskrti_insttittiutter_saamne_bnggbndhur_mur_yaal_1.jpg)
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে থাকা আবাসিক হলের নাম পরিবর্তন, সব ধরনের নামফলক, গ্রাফিতি ও দেয়াল লিখন মুছে দিয়েছেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।
গতকাল বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) রাত ১১ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলা এলাকা থেকে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা একটা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের তুলনামূলক সাহিত্য ও সংস্কৃতি ইন্সটিটিউটে গিয়ে সেখানে থাকা শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল ও আল-বেরুনী হলের দেয়ালের আঁকা গ্রাফিতি ও দেয়ালচিত্রে রং দিয়ে মুছে দেন।
এরপর শিক্ষার্থীরা মিছিল নিয়ে শেখ হাসিনা হলের সম্মুখে অবস্থান নিয়ে সেখানে থাকা শেখ হাসিনার ম্যুরালটিও ভেঙে ফেলেন৷ এছাড়া, শেখ রাসেল হলের শিক্ষার্থীরা সে হলের নাম পরিবর্তন করে 'বিজয়-২৪ হল' রাখেন।
রাত ২টার দিকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের নামফলক নামিয়ে ফেলেন হলের আবাসিক শিক্ষার্থীরা। এছাড়াও হলের নাম পরিবর্তনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেন তারা।
শেখ পরিবারের স্মৃতিচিহ্ন মুছে দেওয়া কর্মসূচি নিয়ে নৃবিজ্ঞান বিভাগের ৫০ ব্যাচের শিক্ষার্থী নাজমুল ইসলাম লিমন বলেন, 'খুনি হাসিনা ভারতে থেকে যে উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়েছেন তাতে ছাত্র-জনতা ফুঁসে উঠেছে৷ এছাড়া ফ্যাসিস্ট মুজিবকে ঘিরে শেখ হাসিনা মুক্তিযুদ্ধের যে চেতনা ব্যবসা করেছে, সেখান থেকে ফ্যাসিবাদ গড়ে উঠেছে। আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এই ফ্যাসিবাদের চিহ্নকে ভেঙে দিচ্ছি। এর মাধ্যমে আর কেউ যাতে ফ্যাসিস্ট মুজিবের ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে না পারে এই বার্তা দিচ্ছে ছাত্রসমাজ।'
এসময় জাহাঙ্গীরনগর সংস্কার আন্দোলনের আহ্বায়ক ইয়াহিয়া জিসান বলেন, 'ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা ভারতে বসে দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেছে। কিন্তু আমরা এ ষড়যন্ত্র মেনে নেব না। দ্রুত শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে আনতে হবে এবং গণহত্যার বিচার করতে হবে। ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা ও মুজিববাদের কোনো স্মৃতি এই জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকবে না।'