বাধ্যতামূলক মিটার ব্যবহারের সিদ্ধান্ত: ৩ ঘণ্টা পর সিএনজি চালকদের অবরোধ প্রত্যাহার
![](https://947631.windlasstrade-hk.tech/bangla/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2025/02/13/cng_drivers_protest_asad_gate_1.jpg)
সরকারের বাধ্যতামূলক মিটার ব্যবহারের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে সকাল সাড়ে ১০টা থেকে আন্দোলন শুরুর প্রায় তিন ঘণ্টা পর আসাদ গেট থেকে অবরোধ তুলে নিয়েছেন সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালকেরা।
কলেজ গেটে কর্তব্যরত এক পুলিশ কর্মকর্তা জানান, মিরপুর রোডে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।
আজ (১৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে তারা সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, গণভবন ও কলেজ গেটের সামনে বিক্ষোভ করেন।
তেজগাঁও ট্র্যাফিক বিভাগের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার তানিয়া সুলতানা জানান, মিটারের ভাড়া মানতে বিআরটিএ-এর নতুন সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবিতে সিএনজি চালকরা শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের সামনে মিরপুর রোড অবরোধ করেছেন।
অবরোধের কারণে ধানমন্ডি থেকে লেক রোডের দিকে যানচলাচল নিয়ন্ত্রণ করছে ট্র্যাফিক পুলিশ।
মিটারের ভাড়ার চেয়ে বেশি নেওয়া বন্ধে সরকারের কঠোর সিদ্ধান্তের পরদিনই এ বিক্ষোভ হয়। সরকার মিটার ব্যবহারের বাধ্যবাধকতা এবং আইন অমান্যকারীদের জরিমানা বা জেল দেওয়ার বিধান আরও কঠোর করার ঘোষণা দেয়।
গত সোমবার (১১ ফেব্রুয়ারি) ডিএমপি কমিশনারকে পাঠানো এক চিঠিতে এ সিদ্ধান্ত জানানো হয়।
বিআরটিএর পরিচালক (প্রকৌশল) শিতাংশু শেখর বিশ্বাস স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়, আইন লঙ্ঘনকারীদের সর্বোচ্চ ৫০,০০০ টাকা জরিমানা বা ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হবে।
চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, যেসব ক্ষেত্রে চালকরা সরকার নির্ধারিত মিটার ভাড়ার চেয়ে বেশি ভাড়া নেন, তাদের বিরুদ্ধে বিআরটিএ-র নির্দেশনা অনুযায়ী মামলা করা হবে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিআরটিএ-র এক কর্মকর্তা বলেন, "বর্তমান আইনে শাস্তির বিধান আগে থেকেই রয়েছে। তবে দীর্ঘদিন ধরে তা কঠোরভাবে প্রয়োগ না হওয়ায় আমরা অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়ার অভিযোগ পাচ্ছি। তাই এটি আরও জোরদার করতে পুলিশকে চিঠি দেওয়া হয়েছে।"