তিন বছর পর ফের বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য দরজা খুলে দিলো মালয়েশিয়া
তিন বছর বন্ধ থাকার পর আবারও বাংলাদেশিদের জন্য খুলে যাচ্ছে মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার। বাংলাদেশ থেকে কর্মী নিয়োগের জন্য রবিবার সকালে (১৯ ডিসেম্বর) দুই দেশের মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হয়েছে। মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে স্থানীয় সময় ১১টায় এ চুক্তি স্বাক্ষর হয়।
বাংলাদেশের পক্ষ থেকে সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন বাংলাদেশ সরকারের প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ এমপি এবং মালয়েশিয়ার পক্ষে স্বাক্ষর করেন মালয়েশিয়া সরকারের মানব সম্পদ মন্ত্রী দাতুক সেরি এম সারাভানান।
এ সময় প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব ড.আহমেদ মুনিরুছ সালেহীন, হাইকমিশনার মোঃ গোলাম সারোয়ার এবং মালয়েশিয়ার মানব সম্পদ মন্ত্রণালয়ের ডেপুটি সেক্রেটারি জেনারেল দাতু মুহাম্মদ খাইর আজমান বিন মোহামেদ আনুয়ার, বিএমইটির মহাপরিচালক মোঃ শহীদুল আলম সহ উভয় দেশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
২০১৮ সালের অক্টোবরে বাংলাদেশ থেকে কর্মী নিয়োগে স্থগিতাদেশ আরোপ করে মালয়েশিয়া সরকার। পুনরায় কর্মী নিয়োগ প্রক্রিয়া চালু করার জন্য দুই দেশের মধ্যে বেশ কয়েকটি সভা অনুষ্ঠিত হয়।
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের নেতৃত্বে আন্তঃমন্ত্রণালয় পরামর্শ এবং বাংলাদেশ হাইকমিশন, কুয়ালালামপুরের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার ফলে সম্প্রতি মালয়েশিয়া সরকার বাংলাদেশ থেকে কর্মী নিয়োগের অনুমোদন দেয়।
সমঝোতা স্মারকের আওতায় মালয়েশিয়াতে বাংলাদেশি কর্মীদের সকল খরচ নিয়োগকর্তা বহন করবেন। রিক্রুটমেন্ট এজেন্সি নিয়োগ, মালয়েশিয়ায় কর্মী নেওয়া, আবাসন, কাজে নিয়োগ, এবং কর্মীর নিজ দেশে ফিরে যাওয়ার খরচ বহন করবেন নিয়োগকর্তা। এছাড়া নিয়োগকর্তা নিজ খরচে মালয়েশিয়ান রিক্রুটিং এজেন্ট নিযুক্ত করতে পারবেন।
চুক্তিতে আরও বলা হয় যে মালয়েশিয়ায় আসার পর বাংলাদেশি কর্মীর ইমিগ্রেশন ফি, ভিসা ফি, স্বাস্থ্য পরীক্ষার খরচ, ইনস্যুরেন্স সংক্রান্ত খরচ, করোনা পরীক্ষা ও কোয়ারেন্টাইন সংক্রান্ত খরচসহ সকল ব্যয়ও মালয়েশিয়ার নিয়োগকর্তা বা কোম্পানী বহন করবেন।
এ সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের ফলে বাংলাদেশ থেকে কর্মী নিয়োগ, কর্মসংস্থান এবং প্রত্যাবাসনের আদর্শ কাঠামো প্রতিষ্ঠার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে বলে মনে করছে বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়া। উভয় দেশের বিশ্বাস, বাংলাদেশি শ্রমিকদের কর্মসংস্থান একটি অন্যতম সহযোগিতার ক্ষেত্র এবং পারস্পরিকভাবে উপকারী।