করোনার বুস্টার ডোজের ক্ষেত্রে একাধিক রোগে আক্রান্তদের গুরুত্ব দেওয়ার কথা ভাবছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর
যারা একাধিক রোগে ভুগছে (কোমর্বিডিটি) এমন ব্যক্তিদের করোনা টিকার বুস্টার ডোজ দেওয়ার চিন্তা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এ বি এম খুরশীদ আলম। এক্ষেত্রে তাদের বয়স কোন বাধা হবে না।
সোমবার (৩ জানুয়ারি) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে বাংলাদেশ হেলথ রিপোর্টার্স ফোরাম সদস্যদের সঙ্গে আলোচনায় তিনি বলেন, 'যাদের কোমর্বিডিটি আছে, যারা স্বাস্থ্যগত ঝুঁকিতে আছেন- তারাও বুস্টার নিতে পারবেন। সেক্ষেত্রে বয়স কোনো বাধা হবে না। যে কোমর্বিডিটিগুলো বেশি ঝুঁকিপূর্ণ এবং যাদের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা দুর্বল আমরা তাদেরকে প্রাধান্য দিতে চাচ্ছি।'
দেশে গত ২৮ ডিসেম্বর বুস্টার ডোজ দেওয়া শুরু হয়েছে। বর্তমানে ৬০ বছরের বেশি বয়সী এবং করোনাভাইরাস সংক্রমণ মোকাবেলায় সম্মুখসারির ব্যক্তিরা বুস্টার ডোজ পাচ্ছেন। এটি পাওয়ার জন্য করোনা টিকার দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার ছয় মাস পার হতে হবে।
সোমবার এবিএম খুরশীদ আলম বলেন, 'যাদের করোনাভাইরাস আক্রান্ত হলে মৃত্যুঝুঁকি বেশি। তাদের বুস্টার ডোজ নেওয়া উচিত। এক্ষেত্রে টিকা কার্ড নিয়ে টিকাকেন্দ্রে যেতে হবে। তাকে বলতে হবে যে তার শারীরিক অসুস্থততা রয়েছে। কারো হয়তো ক্যান্সার আছে, কিন্তু বয়স ৪০। সে বাদ যাবে কেন? আমরা তাকেও টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা করব।'
টিকার জন্য নিবন্ধন করার সময়ে যে সব তথ্য নেওয়া হয়েছে। সেটা দেখেই স্বাস্থ্য অধিদপ্তর নিশ্চিত হবে যে কোনো ব্যক্তির কোমর্বিডিটি আছে কি না।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাবে, গত বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি সারাদেশে টিকাদান কার্যক্রম শুরুর পর থেকে রোববার পর্যন্ত ৭ কোটি ৪৪ লাখ ৮৩ হাজারের বেশি মানুষ করোনার টিকা পেয়েছেন। দ্বিতীয় ডোজ পেয়েছেন ৫ কোটি ২৮ লাখ ৪৩ হাজার জন।
আর গত মাসের শেষ সপ্তাহে চালু হওয়ার পর এ পর্যন্ত বুস্টার ডোজ নিয়েছেন ১ লাখ ১৪ হাজার ৭৪০ জন।