অফিসগুলোকে ৫০ শতাংশ জনবলে চলতে নির্দেশ দেওয়া হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণ বাড়তে থাকায় একাধিক বিধিনিষেধ তালিকাভুক্ত করেছে সরকার। চলমান পরিস্থিতি নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের জরুরি এক প্রেস ব্রিফিংয়ে আজ শুক্রবার স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক জানিয়েছেন, দেশের সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে ৫০ শতাংশ কর্মী দিয়ে চালানোর সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।
শীঘ্রই প্রজ্ঞাপন আকারে এ নির্দেশ প্রকাশ করা হবে বলে মন্ত্রী জানান।
অর্ধেক কর্মী দিয়ে অফিস-আদালত পরিচালনার সিদ্ধান্তের বিষয়ে জাহিদ মালেক বলেন, "গণপরিবহনে যাতে ভোগান্তি না হয়, সে জন্য অর্ধেক লোক দিয়ে অফিস করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।"
এদিকে ২১ জানুয়ারি থেকে ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। আজ শুক্রবার (২১ জানুয়ারি) এক গেজেট বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় তারা।
এ বিষয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, "সংক্রমণের তীব্রতা বৃদ্ধি পাওয়ায় হাসপাতালগুলোতে ৩৩ শতাংশ শয্যা ইতিমধ্যে পূর্ণ হয়েছে। পরিস্থিতি আরও অবনতি হতে পারে। তাই প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করে আগামী দুই সপ্তাহ স্কুল-কলেজ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।"
এছাড়াও মন্ত্রিপরিষদের বিজ্ঞপ্তিটিতে বলা হয়েছে, কোনো সামাজিক, রাজনৈতিক, ধর্মীয় বা সরকারি অনুষ্ঠানে ১০০ জনের বেশি জমায়েত হতে পারবে না।
যারা এই ধরনের কোনো ইভেন্টে যোগ দেবেন তাদের কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন সার্টিফিকেট এবং সাথে ইভেন্টের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে করা টেস্ট থেকে আরটি-পিসিআর নেগেটিভ সার্টিফিকেট বহন করতে হবে।
সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সকল কর্মচারীর কোভিড-১৯ সার্টিফিকেট অফিস কর্তৃপক্ষকে সংগ্রহ করতে হবে।
এছাড়াও শপিমল, বাস স্ট্যান্ড, মসজিদ, লঞ্চ টার্মিনাল এবং রেল স্টেশনসহ সকল পাবলিক স্থানে মাস্ক পরা নিশ্চিত করতে হবে।
সকল স্থানীয় কর্তৃপক্ষ এবং আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোকে এই সমস্ত বিধিনিষেধ নিশ্চিত করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বিজ্ঞপ্তিটিতে।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশে বৃহস্পতিবার নতুন করে ১০ হাজার ৮৮৮ করোনার কেস শনাক্ত হয়। গত বছরের ১০ আগস্টের পর থেকে এটি সর্বোচ্চ। সেদিন দেশে ১১ হাজার ১৬৪ জন ভাইরাসে আক্রান্ত হয়।