ট্রান্সজেন্ডার বিউটি ব্লগারকে নির্যাতনে অভিযুক্ত তিনজন গ্রেপ্তার
আলোচিত ট্রান্সজেন্ডার বিউটি ব্লগারকে যৌন নির্যাতন ও হত্যাচেষ্টার ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় অভিযুক্ত ইশতিয়াক আমিন ফুয়াদ ও সহযোগী তথাকথিত নারী আরজে সায়মা সিকদারসহ তিনজনকে রাজধানীর ফার্মগেট ও মহাখালী থেকে গ্রেফতার করেছে র্যাব।
র্যাব সদরদপ্তরের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের সহকারী পরিচালক এএসপি ইমরান খান জানিয়েছেন, শনিবার রাত থেকে রবিবার সকাল পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গত শুক্রবার রাজধানীর ভাটারা থানায় মামলা করেন বিউটি ব্লগার সাদ মুআ। এছাড়াও তার অফিশিয়াল ফেসবুক পেজেও তিনি ঘটনার বিবরণ পোস্ট করেছেন।
পুলিশের কাছে অভিযোগে ভুক্তভোগীর দাবি, চারদিন আগে রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার একটি রেস্টুরেন্টে একজন নারী ও একজন পুরুষের সাথে দেখা করেন তিনি। তারা তাকে দুপুরে খাওয়ার আমন্ত্রণ জানান। কিন্তু ওই দুজনের বাড়িতে যাওয়ার পর তারা তাকে আটকে রাখেন এবং নির্যাতন করেন। এসময় তার সাথে থাকা মোবাইল ফোন এবং ব্যাগও ছিনিয়ে নেন তারা।
সাদ মুআ তিনজন অপরাধীর মধ্যে দুজনের ছবি প্রকাশ করে লেখেন, 'তিনজনের এই হচ্ছে দুইজন, যারা আমাকে আটকে রেখে আমাকে টর্চার করে সব কিছু নিয়ে নেয়। মেয়েটার নাম সায়মা শিকদার নিরা, ছেলের নাম ইশতিয়াক ফুয়াদ। এই মেয়েটাকে তারা স্যার স্যার বলে ডাকছিলো। আর ওয়াকিটকি তে রাফাত বিন নুর স্যার এর সঙ্গে কথা বলছিলো আমাকে পাচার করে দেয়ার জন্য। পরে জানলাম, সে যেই রাফাত এর কথা বলছিলো, তিনি আর্মিতে চাকরি করেন; আর তিনি এখন মিশনে দেশের বাইরে আছেন। আর ছবির ছেলেটা এয়ারফোর্সে ছিলো এবং কোনো কারণবশত ওর চাকরি চলে যায়। ছেলেটি নর্থ সাউথে পড়ে আর মেয়েটি পরে ড্যাফোডিলে। অথচ ছেলেটা নিজেকে আর্মি ক্যাপ্টেন বলে পরিচয় দেয়, আর মেয়েটা নিজেকে পুলিশ কর্মকর্তা বলে পরিচয় দেয়। কোথাও কোথাও বলে যে সে নর্থ সাউথে পড়ে। এছাড়া এদের পরিচিত লোকদের থেকে জানা যায়, ওদের বসুন্ধরাতে কয়েকটা বাসা ভাড়া নেয়া। সব জায়গাতে তারা স্বামী স্ত্রী পরিচয়ে মাঝে মাঝে থাকে। বসুন্ধরার বাইরেও নাকি তাদের বাসা আছে।'
ভাটারা থানায় ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাজেদুর রহমান গণমাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেছেন 'মামলাটি আজ হয়েছে। ঘটনার সম্পৃক্ততা কতটুকু তা তদন্ত করা হবে। অভিযোগ প্রমাণ হলে আইনানুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'
উল্লেখ্য, সাদ মুআ বিউটি ব্লগার হিসেবে পরিচিত। মেকআপ টিউটোরিয়ালসহ বিউটি কেয়ারের নানা ধরনের ভিডিও কনটেন্ট বানিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় আলোচিত তিনি।