করোনায় 'ছোট পরিসরে' বিয়ে করতে বর এল হেলিকপ্টারে, দেখতে উৎসুক জনতার ঢল
রাজশাহী থেকে হেলিকপ্টার নিয়ে দিনাজপুরের বিরামপুরে বিয়ে করতে এসেছেন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার ইমরান হোসেন। বরপক্ষের দাবি করোনা ভাইরাসের কারণে স্বল্পপরিসরে বিয়ের আয়োজন করতেই হেলিকপ্টার যোগে বর এসেছেন। এদিকে হেলিকপ্টারে করে বর বিয়ে করতে আসছে এমন খবর ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয়রা বিয়ে বাড়ি ও কলেজ মাঠে ভিড় জমান।
বর ইমরান হোসেন রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার ইসমাঈল হোসেনের ছেলে। কনে দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলার শিমলতলী এলাকার মিজানুর রহমানের মেয়ে ইফফাত জাহান। পারিবারিকভাবেই তাদের বিয়ের আয়োজন করা হয়।
হেলিকপ্টারে করে বিয়ে করতে বর আসছে এমন খবর ছড়িয়ে পড়ায় বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই উৎসুক জনতাল ভিড় জমে যায় বিরামপুর সরকারি কলেজে। একইসাথে বরকে বরণ করে নিতে মিষ্টি ও ফুল হাতে নিয়ে কনে পক্ষের লোকজন হাজির হয় কলেজ মাঠে। দুপুর ১টায় হঠাৎ আকাশ থেকে ব্যাপক শব্দ করে কলেজ মাঠে হেলিকপ্টার নামে। এরপর সেই হেলিকপ্টার থেকে নেমে আসেন বর ইমরান হোসেন। মাথায় লম্বা মুকুট, গায়ে শেরওয়ানি পরে বর বেশে হেলিকপ্টার থেকে চার যাত্রী নিয়ে নেমে আসেন বর। এসময় কনে পক্ষের লোকজন মিষ্টি ও ফুল দিয়ে তাকে বরণ করে নেন। পরে সেখান থেকে প্রাইভেট কারে করে কনের বাড়িতে বিয়ের আসরে যান তিনি।
মেয়ের বাবা মিজানুর রহমান বলেন, সারা বিশ্বের ন্যায় বাংলাদেশেও করোনা ভাইরাসের প্রকোপ দিনদিন বাড়ছে। এর মধ্যে করোনা সংক্রামণ রোধে সরকার বেশ কিছু বিধিনিষেধ আরোপ করেছেন। সেকারণেই স্বাস্থ্যবিধি মেনে ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে অল্প পরিসরে মেয়ের বিয়ের আয়োজন করা হয়েছে। বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে বিকেল সাড়ে ৩টায় কনেকে নিয়ে তারা আবারও হেলিকপ্টারে করে রাজশাহী চলে যান।
হেলিকপ্টার নিয়ে বিয়ে করতে আসা পাত্র প্রকৌশলী ইমরান হোসেন বলেন, আসলে আমার এটা শখ ছিল যে হেলিকপ্টারে করে বিয়ে করব। তাছাড়া বর্তমানে দেশে করেনা ভাইরাসের পরিস্থিতি মোটেও ভালো না। দিন দিন করোনা সংক্রমণের হার বাড়ছেই। এর ফলে অনেকটা শখ এবং নিজের দায়িত্ববোধ থেকে হেলিকপ্টার নিয়ে বিরামপুরে বিয়ে করতে এসেছি।
বিরামপুর থানার এসআই আবু হানিফ জানান, আজ দুপুরের দিকে হেলিকপ্টার যোগে রাজশাহী থেকে বিরামপুর সরকারি কলেজ মাঠে বিয়ে করতে আসেন এক প্রকৌশলী। আমরা থানা পুলিশের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি, যাতে করে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে।