নির্বাচনকালীন সরকারের নির্বাচনের ফলাফলকে প্রভাবিত করার কোনো আগ্রহ থাকবে না: দেবপ্রিয়
বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগের (সিপিডি) সম্মাননীয় ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেছেন, "নির্বাচনকালীন সরকার নির্বাচনের ফলাফলের ব্যাপারে নিস্পৃহ থাকবে। সে নির্বাচনের ফলাফলকে নিজের পক্ষে নেয়ার ক্ষেত্রে কোন ধরনের প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করবে না অথবা কোন ধরনের উৎসাহও যোগাবে না।"
তিনি আরও বলেন, "এমন সরকার যদি না থাকে, তাহলে নির্বাচন কমিশনের সংবিধান এবং আইনে প্রদত্ত অধিকার কার্যকর করার কোন সুযোগ নাই।"
আজ মঙ্গলবার (২২ মার্চ) নির্বাচন ভবনে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সাথে বিশিষ্ট নাগরিকদের সংলাপে তিনি এসব বলেন।
সৎ ও যোগ্য প্রার্থীরাই যেন নির্বাচনে মনোনীত হন, তার জন্য দেশে যেসব আইন আছে তার প্রয়োগ ঘটাতে হবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, "বাংলাদেশে সুষ্ঠু এবং প্রতিযোগিতাপূর্ণ নির্বাচন করার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতাগুলো কী কী তা সবার মোটামুটি জানা আছে। আজকে সেই বিষয়গুলোই আমরা পুনঃউল্লেখ করেছি।"
"ধর্মীয় সংখ্যালঘু, জাতিগত সংখ্যালঘু, নারী এবং দুর্গম অঞ্চলে বসবাসকারীদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে হবে", যোগ করেন তিনি।
ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, "আগের নির্বাচন কমিশনারের কাছে আমরা এসেছিলাম। পূর্বে অনুষ্ঠিত দুটি অপ্রিয়, অবাঞ্ছিত এবং কুৎসিত নির্বাচনের ভিত্তিতে তিনি আমাদের কাছে জানতে চান, সামনে কী করা যেতে পারে। আমরা বলেছিলাম, নির্বাচন কমিশনের ওপর মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনাই হলো সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।"
ইভিএমের ব্যাপারে পরিষ্কারভাবে জাতীয় ঐক্যমতের প্রয়োজন আছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। নির্বাচনে দেশি এবং বিদেশি পর্যবেক্ষকেরা নির্ভয়ে কাজ করতে পারবেন, তেমন পরিবেশ থাকার ওপর জোর দিয়েছেন দেবপ্রিয়।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার নির্বাচন কমিশনের সংলাপে ৩৯ জন আমন্ত্রিত নাগরিকের মধ্যে ১৫ জন অংশ নিয়েছেন।
সংলাপে উপস্থিতদের মধ্যে ছিলেন- ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য, মোস্তাফিজুর রহমান, জাফরুল্লাহ চৌধুরী, খুশি কবির, সঞ্জীব দ্রং, রোবায়েত ফেরদৌস, আলী ইমাম মজুমদার, আবদুল লতিফ মণ্ডল, মহিউদ্দিন আহমেদ, সিনহা এম এ সাঈদ, অধ্যাপক নজরুল ইসলাম, ফরাস উদ্দিন, আবু আলম শহীদ খান, ইফতেখারুজ্জামান ও শাহীন আনাম।
এর আগে গত ১৩ মার্চ শিক্ষাবিদদের সঙ্গে সংলাপ করে নির্বাচন কমিশন। সেদিন ৩০ জনকে আমন্ত্রণ জানানো হলেও সংলাপে এসেছিলেন মাত্র ১৩ জন।
বিভিন্ন অংশীজনদের সঙ্গে ধারাবাহিক সংলাপের ফলাফলকে কাজে লাগিয়ে আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য একটি রোডম্যাপ তৈরি করবে নির্বাচন কমিশন।
২৬ ফেব্রুয়ারি তারিখে কাজী হাবিবুল আউয়ালকে নতুন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) হিসেবে নিয়োগ দিয়ে কমিশন গঠন করেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।