টিপু ও প্রীতির হত্যাকারী গ্রেপ্তার
আওয়ামী লীগ নেতা জাহিদুল ইসলাম টিপু ও কলেজছাত্রী সামিয়া আফরিন প্রীতিকে হত্যাকারী বন্দুকধারীকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
রোববার সকালে ডিএমপির একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, বহুল আলোচিত হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে আরও বিশদ তথ্য আজ একটি অফিসিয়াল প্রেস ব্রিফিংয়ে প্রকাশ করা হবে।
সাতক্ষীরার সীমান্ত থেকে তাকে আটক করা হয়েছে বলে বিভিন্ন মাধ্যম থেকে শোনা যাচ্ছে। তবে, সাতক্ষীরা ডিবি পুলিশ এ সম্পর্কে কিছু জানে না বলে উল্লেখ করেছে।
বৃহস্পতিবার (২৪ মার্চ) রাজধানীর খিলগাঁও রেলগেট এলাকায় অতর্কিত গুলিতে আওয়ামী লীগের মতিঝিল থানা কমিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক টিপু ও বেগম বদরুন্নেসা সরকারি কলেজের ২২ বছর বয়সী ছাত্রী প্রীতি নিহত হন।
মাত্র ২০ সেকেন্ডের মধ্যে ১২ রাউন্ড গুলি ছুড়ে বন্দুকধারী। তীব্র যানজটের মধ্যে শহরের ব্যস্ত একটি সড়কে এই ভয়াবহ ঘটনাটি ঘটে।
তার গলা, বুক, পেটসহ শরীরের অন্যান্য অংশে গুলি করা হয়েছে। নৃশংস গুলি চালানোর বিস্তারিত তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নিহত ও তার চালক মনির হোসেন মুন্নার (৩৪) গায়ে অন্তত ১০-১২টি গুলি লেগেছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সিআইডি-র এক ব্যালিস্টিক বিশেষজ্ঞ বলেন, "এ ঘটনা দেখে মনে হচ্ছে, কেউ তার ওপর প্রতিশোধ নিচ্ছে এবং গুলি চালানোর সময় তার সমস্ত ক্ষোভ ঢেলে দিয়েছে। নির্বিচারে গুলি চালানো থেকেও বোঝা যায়, তিনি পেশাদার হিটম্যান ছিলেন না। পেশাদার খুনিরা কখনই নির্বিচারে গুলি চালায় না, তারা শুধুমাত্র লক্ষ্যবস্তুতে গুলি চালায়।"
এ ঘটনায় কলেজছাত্রী প্রীতি তার বন্ধুর বাসায় যাওয়ার পথে নির্মমভাবে নিহত হন।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক টিপু ও প্রীতিকে মৃত ঘোষণা করেন।