২ এপ্রিল থেকে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন রুটে বন্ধ হচ্ছে জাহাজ চলাচল
প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনে পর্যটকদের ভ্রমণ বন্ধ হচ্ছে আগামী ৩১ মার্চ। চলতি পর্যটন মৌসুম শেষ হওয়ায় টেকনাফ-সেন্টমার্টিন রুটে সকল প্রকার পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল বন্ধ থাকবে।
সোমবার (২৮ মার্চ) সন্ধ্যায় টেকনাফের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. পারভেজ চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, "টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌরুটে চলাচলকারী সকল পর্যটকবাহী জাহাজের অনুমতির মেয়াদ হচ্ছে আগামী ৩১ মার্চ। তাই এরপর থেকে এই নৌরুটে সকল পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল বন্ধ থাকবে। কেবল একটি জাহাজের (কেয়ারি সিন্দাবাদ) আগামী ৪ এপ্রিল পর্যন্ত সেন্টমার্টিনে চলাচলের অনুমতি রয়েছে। তাও ৪ এপ্রিলের পর চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হবে।"
তবে আর কোনো পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচলের জন্য মেয়াদ বাড়ানো হলে, সেক্ষেত্রে তাদের অনুমতি প্রদান করা হবে বলেও জানান তিনি।
এদিকে, আগামী ২ এপ্রিল থেকে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন রুটে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে জাহাজ মালিকদের সংগঠন সি ক্রুজ অপারেটরস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (স্কুয়াব)।
সোমবার বিকেলে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে স্কুয়াবের সভাপতি তোফায়েল আহমেদ এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, "টেকনাফ-সেন্ট মার্টিন নৌপথে জাহাজ চলাচলের অনুমতি আছে ৩১ মার্চ পর্যন্ত। কিন্তু ২ এপ্রিল পর্যন্ত কিছু পর্যটক সেন্টমার্টিনে রাত্রিযাপন করবেন বলে তাদের আনার জন্যওই দিন পর্যন্ত জাহাজ চলাচলের সিদ্ধান্ত হয়েছে।"
এছাড়া, ২ এপ্রিল সেন্টমার্টিন থেকে ফেরার সময় প্রতিটি জাহাজে করে দ্বীপের আবর্জনা টেকনাফে আনা হবে। এরপর এসব আবর্জনা টেকনাফের বিভিন্ন এলাকায় মাটিতে পুঁতে ফেলা হবে। আর প্লাস্টিক বর্জ্য লোকজনের কাছে বিক্রি করা হবে। এরপর আগামী অক্টোবর পর্যন্ত টানা সাত মাস এ দ্বীপে পর্যটকদের যাতায়াত বন্ধ থাকবে বলেও জানান স্কুয়াবের সভাপতি তোফায়েল আহমেদ।
উল্লেখ্য, পর্যটক ভ্রমণে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌরুটে ১০টি জাহাজ চলাচল করে। বর্ষা মৌসুম ও দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে বঙ্গোপসাগর উত্তাল থাকে বলে এসময় উপজেলা প্রশাসন এসব জাহাজ চলাচল বন্ধ রাখে।