সাংবাদিক মহিউদ্দিন হত্যা মামলার আসামি র্যাবের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত
সাবেক সংবাদকর্মী মহিউদ্দিন সরকার নাইম হত্যা মামলার প্রধান আসামি রাজু র্যাবের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছেন।
গত বছরের ১০ ডিসেম্বর মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে র্যাবের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞার পর এই প্রথম বন্দুকযুদ্ধে কারও নিহত হওয়ার ঘটনা ঘটলো।
রোববার (১৭ এপ্রিল) রাত ২টার সময় কুমিল্লার গোলাবাড়ি সীমান্তে এ ঘটনা ঘটে। নিহতের মরদেহ কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। র্যাবের একটি বিশ্বস্ত সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
র্যাব-১১ এর ক্রাইম প্রিভেনশন কোম্পানি-২ এর কমান্ডার মেজর মোহাম্মদ সাকিব হোসেন আজ সকালে দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বলেন, "গত রাতে চোরাচালান বিরোধী অভিযানের সময় র্যাবের একটি দল গোলাবাড়ি এলাকায় গিয়েছিল। র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে চোরাকারবারীরা গুলি ছুড়ে র্যাবকে আক্রমণ করে। আমাদের দলের সদস্যরাও পাল্টা গুলি চালায়।"
"বন্দুকযুদ্ধের পর একজন চোরাকারবারীকে ঘটনাস্থলেই গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পাওয়া যায়। তাকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন", যোগ করেন তিনি।
রাজু কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলার বিষ্ণুপুর এলাকার সাদেক মিয়ার ছেলে। সে একাধিক মাদক মামলার আসামি।
এর আগে বুধবার (১৩ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৯টার দিকে কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার ভারতীয় সীমান্তবর্তী রাজাপুর ইউনিয়নের শংকুচাইল এলাকা সংলগ্ন হায়দ্রাবাদনগর গ্রামে সাংবাদিক মহিউদ্দিনকে গুলি করে হত্যা করা হয়।
এ ঘটনায় গত ১৪ এপ্রিল মাদক ব্যবসায়ী রাজুসহ তিনজনের নাম উল্লেখ করে দশজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন মহিউদ্দিনের মা।
মহিউদ্দিন সরকার স্থানীয় একটি দৈনিকের স্টাফ রিপোর্টার ছিলেন। সাংবাদিকতা ছাড়ার পর পুলিশ, র্যাব, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর ও উপজেলা প্রশাসনের সোর্স হিসেবে কাজ করতেন তিনি।