অবৈধ জ্যামার, বুস্টার অপসারণ অভিযান জোরদার করার সিদ্ধান্ত বিটিআরসির
বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশন (বিটিআরসি) ঢাকাসহ অন্যান্য শহরে মোবাইল নেটওয়ার্ক বিঘ্নকারী অবৈধ জ্যামার ও বুস্টার অপসারণের অভিযান জোরদার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
বিটিআরসি চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদার জানিয়েছেন, মোবাইল নেটওয়ার্ক এবং টেলিযোগাযোগ সেবার মান নিশ্চিত করতেই বিটিআরসি এই পদক্ষেপ নিয়েছে।
মোবাইল ব্যবহারকারীদের কাছে পাঠানো ক্ষুদে বার্তায় বিটিআরসি অবৈধভাবে ইনস্টল করা জ্যামার, নেটওয়ার্ক বুস্টার এবং রিপিটার অপসারণের জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের অনুরোধ করেছে।
মঙ্গলবার (১৯ এপ্রিল) দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের সঙ্গে আলাপকালে বিটিআরসির চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদার বলেন, বিটিআরসির অনুমোদন ছাড়া স্থাপিত এ ধরনের অবৈধ যন্ত্রপাতি অপসারণের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
গত ১৩ এপ্রিল "অবৈধ জ্যামার, বুস্টারের কারণে ঢাকার ২১২টি স্থানে নেটওয়ার্ক সমস্যা"- শিরোনামে টিবিএসের প্রতিবেদনের পরেই বিটিআরসিকে এই পদক্ষেপ নিতে দেখা গেলো।
প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, ঢাকার ২১২টি সহ সারাদেশের মোট ৩২৫টি স্থানে এ ধরনের অবৈধ ডিভাইসের কারণে মোবাইল নেটওয়ার্ক ব্যাহত হচ্ছে।
মোবাইল অপারেটরদের দ্বারা পরিচালিত সাম্প্রতিক এক জরিপে এলাকাগুলো শনাক্ত করা হয়েছে।
সমীক্ষায় দেখা গেছে, মসজিদ এবং মন্দিরে জ্যামার বসানো করা হয়েছে। অনেকে আবার ভালো নেটওয়ার্ক পেতে নিজ বাড়িতে বুস্টার ও রিপিটার বসিয়েছে। এর ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ওই এলাকার অন্যান্যদের নেটওয়ার্ক।
ব্যবহারকারীদের অভিযোগের ওপর ভিত্তি করেই চালানো হয় এই জরিপ। এরপর অ্যাসোসিয়েশন অফ মোবাইল টেলিকম অপারেটরস অফ বাংলাদেশ (অ্যামটব) তথ্যগুলো সংগ্রহ করে।
জ্যামার সাধারণত ওয়্যারলেস সিস্টেমের আপলিংক ফ্রিকোয়েন্সিকে আক্রমণ করে পুরো ফ্রিকোয়েন্সি ব্যান্ডের ওয়্যারলেস চ্যানেলগুলোকে বাধাগ্রস্ত করতে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন সংকেত প্রেরণ করে। এতে মোবাইল ডিভাইসের ভয়েস কিংবা ডেটা পরিষেবা বিঘ্নিত হয়।
এর ফলে মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীরা কল ড্রপ, সাইলেন্ট কল ও ধীরগতির ডেটার মতো নেটওয়ার্ক সমস্যায় পড়েন।
এ ব্যাপারে বিটিআরসির ভাইস চেয়ারম্যান সুব্রত কুমার মৈত্র বলেন, অনুমোদন ছাড়া এ ধরনের টেলিকমিউনিকেশন ডিভাইস স্থাপন করা বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ।