অসম্পূর্ণ অবস্থাতেই পথচারীদের জন্য উন্মুক্ত ফুটওভার ব্রিজ, দুর্ঘটনার আশংকা
রাজধানীর সাভারে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের গেন্ডা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় পথচারী পারাপারের জন্য নবনির্মিত ফুটওভার ব্রিজটি অসম্পূর্ণ অবস্থাতেই জনসাধারণের চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে। এতে করে যেকোন সময় দুর্ঘটনার আশংকা করছেন স্থানীয়রা।
রবিবার সকালে ফুটওভার ব্রিজটি পরিদর্শন করে দেখা যায়, এর উভয় পাশে চারটি সিঁড়ির দুটিতেই এখন পর্যন্ত দেওয়া হয়নি কোন নিরাপত্তা বেষ্টনী কিংবা রেলিং। এর মধ্যে একটি সিঁড়ির প্রবেশমুখে বাঁশ দিয়ে আংশিক বন্ধ করে রাখা হলেও অপর সিড়িটি সম্পূর্ণ উন্মুক্ত অবস্থায় রয়েছে, যা থেকে যেকোনো সময় দুর্ঘটনার আশংকা করছেন সাধারণ পথচারী ও স্থানীয়রা।
নিরাপত্তা বেষ্টনীবিহীন সিঁড়িটি দিয়ে পার হওয়া আফরিন আক্তার নামের এক পথচারী দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বলেন, ঈদের আগে থেকেই ফুটওভার ব্রিজটি পথচারী চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, এটা নিঃসন্দেহে ঝুঁকির কিন্তু তা সত্ত্বেও যেহেতু মহাসড়কের সার্ভিস লেন ডিভাইডার দিয়ে আটকে দেওয়া হয়েছে সুতরাং রাস্তা পারাপারের জন্য এটি ছাড়া আর কোন বিকল্প দেখছেন না তিনি। সার্ভিস লেনের একটি পাশে সামান্য ফাঁকা থাকলেও সেটি দিয়ে নারীদের জন্য রাস্তা পার হওয়া আরও বেশি ঝুঁকির বলে মনে করেন তিনি।
ওই স্থান দিয়ে চলাচলকারী একাধিক পথচারীর সাথে কথা বলে জানা যায়, ঈদের আগে সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে তড়িঘড়ি করে মহাসড়কের সার্ভিস লেন রোড ডিভাইডার দিয়ে আটকে দেওয়া হয়। বাধ্য হয়েই শতশত পথচারী প্রতিদিন এই অসম্পূর্ণ ফুটওভার ব্রিজ দিয়ে রাস্তা পারাপার হচ্ছে।
"কিছুক্ষণ আগেও বৃষ্টি হয়েছে, আর বৃষ্টি হলে স্বাভাবিকভাবেই ফুটওভার ব্রিজের সিঁড়িগুলো খানিকটা পিচ্ছিল হয়ে যায়, এমন অবস্থায় রেলিংবিহীন অবস্থায় এই ফুটওভার ব্রিজ দিয়ে পারাপার হওয়া বেশি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ওঠে, বলেন সাব্বির নামে আরেক পথচারী।
যোগাযোগ করা হলে ফুটওভার ব্রিজটি অসম্পূর্ণ হওয়ার কথা স্বীকার করে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী (ঢাকা জোন) মো. মারুফ হোসেন দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে মুঠোফোনে বলেন, "আসলে যে দুটো সিঁড়িতে এখনো রেলিং দেওয়া হয়নি তা বাঁশ দিয়ে আটকে রাখা হয়েছিলো। মানুষের চলাচলের স্বার্থে বাকি দুটো সিঁড়ি, যে দুটোতে রেলিংয়ের কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে, সেগুলো উন্মুক্ত রাখা হয়েছিলো। হতে পারে ঈদের ছুটির মধ্যে কেউ সেই বাঁশ খুলে ফেলেছে। যাহোক, বিষয়টি আমার জানা ছিলো না, আমি এখনই এ বিষয়ে ব্যাবস্থা নিচ্ছি।"
এসময় সড়ক ও জনপথ বিভাগের এই কর্মকর্তা আরও জানান, ছাউনিসহ ফুটওভার ব্রিজটির যেটুকু কাজ এখনো বাকি আছে, তা সপ্তাহখানের মধ্যেই সম্পূর্ণ করা হবে।
স্থানীয়রা জানান, প্রতিদিন শত শত নারী, পুরুষ, শিশু, বৃদ্ধরা এই ফুটওভার ব্রিজটি দিয়ে রাস্তা পারাপার হচ্ছেন। বিশেষ করে ওই স্থানের একদিকে উপজেলা পরিষদ ও অপরদিকে একটি বাজার থাকায় স্থানটিতে সবসময়ই পথচারীদের চাপ থাকে। দুর্ঘটনা এড়াতে এসব ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে আরও সতর্ক থাকার আহবান জানান তারা।