দাম বেড়েছে ডিম-মসুর-পেঁয়াজ-রসুনের
এক সপ্তাহের ব্যবধানে ডিম, মসুর ডাল, পেঁয়াজ, রসুন ও আরও কিছু নিত্যপণ্যের দাম বেড়েছে।
আজ শুক্রবার মগবাজারের খুচরা দোকানসহ রাজধানীর কারওয়ান বাজারে প্রতি ডজন ডিম বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকায়, গত সপ্তাহে দাম ছিল ১০০ টাকা।
পেঁয়াজের দাম কেজিতে ১৫ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৪৫ টাকায়।
মসুর ডাল কেজি প্রতি ১০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকায়। দেশি রসুনের দাম প্রায় দ্বিগুন হয়ে কেজি ৮০ থেকে ৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
মগবাবাজার বৌবাজারের হৃদয় জেনারেল স্টোরের বিক্রেতা মোহম্মদ হৃদয় বলেন, এক সপ্তাহের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে ১৫ টাকা।
"বেশি দামে কিনতে হচ্ছে তাই বিক্রিও বেশি দামে হচ্ছে," বলেন তিনি।
রাজধানীর কারওয়ান বাজারে ডিম কিনতে আসা হান্নান সিকদার বলেন, তেলের দাম বাড়তি, ডিমের দামও বেড়েছে।
"তার ওপর ডালের দামও বেড়েছে নিত্য প্রয়োজনীয় সব পণ্যের দাম বড়লে খাবো কী। আমাদের আয় তো বাড়াতে পারছি না। এখন তাই কম কম খেতে হচ্ছে আমাদের। আগে সপ্তাহে ৪ টি ডিম খেলেও এখন সপ্তাহে খাচ্ছি ২টি ডিম।"
দাম বাড়তি হলেও দীর্ঘদিন সয়াবিন তেলের সংকট থাকার পর শুক্রবার খুচরা বাজার ও অলিগলির দোকানে পাওয়া যাচ্ছে বোতলজাত সয়াবিন তেল।
রাজধানী শ্যামবাজার পাইকারি বিক্রিতা মেসার্স আলী ট্রেডার্স এর মালিক মোহাম্মদ শামসুর আহমেদ জানান, দেশি রসুনের দাম বেড়েছে।
"এখন ৭০ টাকা কেজি পাইকারি বিক্রি হচ্ছে", দাম বাড়তি হওয়ার কারণ হিসেবি তিনি বলেন, সরবরাহের চেয়ে চাহিদা বেশি ।
আমদানির অনুমোদনের মেয়াদ শেষ হওয়ায় ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ আছে, এর প্রভাবে দাম বেড়েছে।
শামসুর আহমেদ বলেন, দেশে কোন পেঁয়াজের সংকট নেই।
"ভোক্তারা মনে করেছে আমদানি বন্ধ, তাই দাম বেড়ে যেতে পারে এই ভয়ে তারা বেশি করে কিনছেন। এতে চাহিদা বেড়ে গেছে।"
পাইকারিতে গতকাল ৩৪ টাকা ও আজ শুক্রবার ৩১ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে পেঁয়াজ।