আমার চেহারাতেই ‘নায়িকা’ ব্যাপারটি রয়েছে: অধরা খান
১৯ ফেব্রুয়ারি মুক্তি পেয়েছে অধরা খানের প্রথম অভিনীত চলচ্চিত্র 'পাগলের মতো ভালোবাসি'। তবে মুক্তি পাওয়ার হিসেবে এটি তৃতীয়। প্রায় ৫ বছর আগে এই চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে চলচ্চিত্র জগতে পা রাখেন তিনি। হয়ে যান চলচ্চিত্রের নায়িকা।
প্রথম অভিনয় করা ছবি, অথচ মুক্তি পেল তৃতীয় ছবি হিসেবে। কারণ কী?
অধরা বলেন, 'এটা আসলে পুরোপুরি প্রযোজক ও পরিচালকের ওপর নির্ভর করছে। আমার কাজ অভিনয় করে যাওয়া। তারা মনে করেছেন, দেরিতে মুক্তি দেওয়া যায়, তাই দিয়েছেন।'
দেশের প্রায় ৫০টি সিনেমা হলে চলছে 'পাগলের মতো ভালোবাসি'। সাড়া পেয়েছে বেশ। ছবি নিয়ে আলাপ করতে করতে অধরা জানালেন চলচ্চিত্রে তার আসার গল্প।
বললেন, "আমি নাচ করতাম। তখন ইউনিভার্সিটির ফার্স্ট ইয়ারে পড়ি। নাচ শিখতে শিখতে নিজেরা একটা পোর্টফোলিও করলাম। মানে ছবি তুললাম। ছবি তোলার পর আমার নাচের টিচার দেখে বললেন, আমাকে চলচ্চিত্রে ট্রাই করতে। কারণ আমার চেহারায় নাকি 'নায়িকা' ব্যাপারটা আছে।"
'তারপর দুই বন্ধুর মাধ্যমে পরিচালক শাহীন সুমনের সঙ্গে পরিচয় হয়। তিনি তখন নতুন নায়িকা খুঁজছিলেন। তারপর তো হয়ে গেল!'
বাংলা সিনেমা করার সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে নিয়মিত হলে গিয়ে বাংলা সিনেমা দেখেছেন। তারপর থেকে আরও আগ্রহ জন্ম নিয়েছিল। শাহিন সুমনের 'মাতাল' সিনেমায় চুক্তিবদ্ধ হন। কিন্তু সেটার আগেই শুরু হয় 'পাগলের মতো ভালোবাসি' ছবির কাজ।
প্রথম দিন শুটিং হয় কুমিল্লার ময়নামতিতে। সেখানে একটা গান দিয়ে শুরু হয় অধরার প্রথম চলচ্চিত্রে অভিনয়। সেই স্মৃতি মনে করে বলেন, 'আমি আসলে ওই সময় কিছুই বুঝতে পারছিলাম না। মনে হচ্ছিল, কেউ আমাকে দিয়ে সবকিছু করিয়ে নিচ্ছে। নিজেকে পুতুল মনে হচ্ছিল।'
তিন বোন ও এক বোনের মধ্যে অধরা মেজ। ভাই-বোন কিংবা পরিবারের কেউই এই অঙ্গনে নেই। তাই শুরুতে পরিবার সমর্থন ছিল না। অনেক যুদ্ধ করে তবেই নাম লিখিয়েছেন চলচ্চিত্রে। এরইমধ্যে শুরু করেছেন সাত নম্বর সিনেমার কাজ। নাম, 'গিভ অ্যান্ড টেক'। এরইমধ্যে মুক্তি পেয়েছে তিনটি সিনেমা। আর পড়াশোনা করছেন একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে।
তবে এখনো নিজেকে শেখানোর জায়গায় রেখেছেন। এ কারণে নিজের অভিনয়ে নিজেকে কোনো নম্বর দিতে চান না। সামনে আরও শিখতে চান। 'প্রতিটি সিনেমার শুটিং করার পর মনে হয়, আরও ভালো করতে পারতাম। সামনে আরও ভালো করব। এ কারণে অভিনয়ের অনুপ্রেরণা হিসেবে আছেন শাবানা, কবরী, ববিতার মতো অভিনেত্রীরা।'
সামনে নিজেকে কোথায় দেখতে চান- জানতে চাইলে অধরা বলেন, 'আমি কত দূর কী করতে পারব, জানি না। তবে আমার চাওয়া থাকবে সেরা একটায় জায়গায় যাওয়ার। যখন কোনো পরিচালক, প্রযোজক নির্মানের কথা ভাববেন, তখন যেন আমার কথা মাথায় রাখেন। এটাই চাওয়া।'
তাই বলে কাউকে প্রতিদ্বন্দ্বী ভাবেন না অধরা। নিজের মতো করেই এগিয়ে যেতে চান সামনে।