এবার নেটে ভাইরাল ‘দ্য ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট’
গত এক সপ্তাহ যাবত বিশ্বজুড়ে হইচই ফেলে দিয়েছে একটি গ্রিক নাম- 'ওমিক্রন'। করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্টটির এই নাম রেখেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। এক সপ্তাহ আগেও এর কথা কেউ জানত না।
অথচ ওমিক্রন ছড়িয়ে পড়তেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভেসে উঠেছে ১৯৬৩ সালে নির্মিত এক সিনেমার পোস্টার, তারও নাম সেই 'ওমিক্রন'।
ব্যস, সত্য-মিথ্যা নানা খবর নিমেষেই ভাইরাল। তৈরি হয়ে গিয়েছে ইন্টারনেট মিম। শেয়ার হয়েছে ছবির পোস্টার। তাতে লেখা 'দ্য ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট'।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে যখন প্রথম ধরা পড়েছিল করোনা-সংক্রমণ, তখন শোরগোল ফেলে দিয়েছিল হলিউডের ২০১১ সালের ছবি 'কন্টাজিয়ন'। ম্যাট ডেমন, জুড ল, কেট উইন্সলেট অভিনীত সেই ছবির গল্প ছিল, এক রহস্যজনক ভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ে।
তাতে হংকং থেকে আমেরিকা ফিরে আচমকাই অসুস্থ হয়ে পড়েন এক তরুণী। হাসপাতালে মারা যান তিনি। জানা যায়, রহস্যময় ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন তরুণী। ছবিতে দেখানো হয়, সেই অতিমারিতে শুধু আমেরিকাতেই মৃত্যু হয় ২৫ লাখ লোকের। বিশ্বজুড়ে ২ কোটি ৬০ লাখেরও বেশি ঘটে প্রাণহানি।
সিনেমাতেও দেখানো হয়, চীনা বাদুড় থেকে ভাইরাসটির সংক্রমণ ঘটে শূকরের শরীরে। শূকরের মাংস খেয়ে ভাইরাস ছড়ায় মানুষের মধ্যে।
বাস্তবভিত্তিক ঘটনা থেকে চলচ্চিত্র তৈরির নজির নতুন নয়।
কিন্তু সিনেমার কাহিনি যদি ভবিষ্যতে মিলে যায় বাস্তবের সঙ্গে! 'কন্টাজিয়ন' ছবির ক্ষেত্রে তাই ঘটে গিয়েছে। ২০১১ সালে সিনেমা হলের পর্দায় যা দেখা গিয়েছিল, বাস্তবে তা ঘটে চলেছে গত দু'বছর ধরে।
কিন্তু আবার 'ওমিক্রন'-এও একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি! না, ১৯৬৩ সালের ইতালির এই সিনেমায় কোনও ভাইরাস নেই। এই গল্পে ভিনগ্রহের এক প্রাণী পৃথিবীতে এসে এক ব্যক্তির মৃতদেহ কব্জা করে। মানবদেহে ঢুকে সে পৃথিবীবাসীর আদব-কায়দা শিখতে থাকে। ভবিষ্যতে পৃথিবী আক্রমণ করলে তারা যাতে যুদ্ধে জিততে পারে, এ ছিল তারই প্রস্তুতি। পৃথিবীর রাজনৈতিক পরিস্থিতিও ক্রমে বুঝতে পারে ভিনগ্রহী।
করোনার ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের নাম জানাজানি হতেই ইউটিউবে ভেসে উঠেছে সাদাকালো যুগের এই ছবিটি। তৈরি হয়েছে মিম।
আবার মজা করে আরেকটি সিনেমার পোস্টারে নাম বদলে দেওয়া হয়েছে 'দ্য ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট'। সেই পোস্টারটি ১৯৭৬ সালের একটি স্প্যানিশ ছবির।
নেটিজেনরা অবশ্য এই 'রসিকতা' প্রথমে ধরতে পারেননি। পরিচালক রামগোপাল ভার্মার মতো অনেকেই শেয়ার করতে থাকেন সেই পোস্টার। পরে জানাজানি হয় পোস্টারটি ভুয়া। যিনি এটি তৈরি করেছিলেন, সেই বেকি চিটল জানতে পেরে টুইট করেন, ''আমার তৈরি পোস্টারগুলো ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। মজা করে তৈরি করেছিলাম। কেউ সত্যি ভেবে নেবেন না। ৭০-এর দশকের বেশ কিছু সায়েন্স ফিকশন চলচ্চিত্রের পোস্টার ফটোশপ করে ওগুলো তৈরি করেছিলাম।''
- সূত্র- আনন্দবাজার পত্রিকা